kharagpur iit

Fraud: আইনের ডিগ্রি ছাড়াই আইন স্কুলের ডিন! অভিযুক্ত খড়্গপুর আইআইটি-র প্রতিষ্ঠান

এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে গত বছরের জুলাইয়ে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল ।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২১ ০৬:২০
Share:

অভিযোগ উঠছে দেশের চতুর্থ সেরা আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফাইল চিত্র

আইন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান, অথচ সেখানেই নিয়মবহির্ভূত কাজের অভিযোগ! এবং সেই অভিযোগ উঠছে দেশের চতুর্থ সেরা আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। যিনি খড়্গপুর আইআইটি-র ‘রাজীব গাঁধী স্কুল অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ল’-এর ডিন, আইনের ডিগ্রিই নেই তাঁর। তিনি ওই আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক। এই নিয়ে আপত্তি উঠলেও আইআইটি-কর্তৃপক্ষ এখনও তাতে কর্ণপাত করেননি বলেই অভিযোগ।

Advertisement

দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নির্ধারণ করে যারা, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সেই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে খড়্গপুর আইআইটি-র এই স্কুল রয়েছে চতুর্থ স্থানে। শিক্ষা শিবিরেই প্রশ্ন, যিনি এ-হেন উচ্চ মানের আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিন, তাঁর আইনের ডিগ্রি থাকবে না কেন? শুধু ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রির জোরেই কি তিনি আইন স্কুলের ডিনের পদে থাকতে পারেন? এতে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এবং ইউজিসি-র বিধিভঙ্গ হচ্ছে বলেই শিক্ষা শিবিরের একাংশের অভিযোগ।

প্রযুক্তির ওই শিক্ষককে গত বছর জুনে আইন স্কুলের ডিন-পদে নিয়োগ করা হয়। এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে গত বছরের জুলাইয়ে আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল বলে শিক্ষা সূত্রের খবর। অভিযোগ, এখনও তিনিই ডিন আছেন। দেশের আইন শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি যথাযথ ভাবে চলছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার। কাউন্সিলের সচিব চিঠিতে খড়্গপুর আইআইটি-র অধিকর্তা বীরেন্দ্রকুমার তিওয়ারিকে জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষককে ওই আইন স্কুলের ডিন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ। দেশের সব আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ডিনের আইনের ডিগ্রি থাকা জরুরি। এ ক্ষেত্রে সেই নিয়মবিধিকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

Advertisement

আইআইটি খড়্গপুরের রেজিস্ট্রার তমাল নাথ জানান, আইন স্কুলের ডিন আগে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস সেলের দায়িত্বে ছিলেন। তার পরে তিনি ডিনের দায়িত্বে আসেন। ‘‘ডিনের পদ প্রশাসনিক পদ। উনি তো আইনের ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন না,’’ বলেন রেজিস্ট্রার। তিনি আরও জানান, সাধারণ আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আইআইটি-র সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আইআইটি-র অধিকর্তাই এই আইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা। তাঁরও তো আইনের ডিগ্রি নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement