ধস নেমেছে নির্মীয়মাণ সড়কে।
উত্তরবঙ্গের বাগরাকোট থেকে সিকিম যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ৭১৭এ জাতীয় সড়ক। নির্মীয়মাণ সেই সড়কে নামল ধস। কাদামাটিতে ঢেকে গেল রাস্তা। আটকে পড়ল গাড়ি, ট্রাক। বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, নির্মাণকারী সংস্থার গাফিলতিতেই ধস নেমেছে। প্রতি বর্ষায় সমস্যায় পড়ছেন। ক্ষতিপূরণের দাবিও করেছেন কৃষকরা।
চুইখিম, বরবট, নিমবঙ, গেশক প্রভৃতি গ্রামগুলো থেকে দেশের অন্য জায়গায় যাওয়ার একমাত্র পথ হল এই ৭১৭এ জাতীয় সড়ক। এই পথেই হাসপাতাল থেকে ওদলাবাড়ির হাটবাজার— সব জায়গায় যাতায়াত করেন ওই চার গ্রামের বাসিন্দারা। রবিবার ওই নির্মীয়মাণ সড়কেই ধস নামে। ফলে ঠিক সময়ে হাটে যেতে পারেননি কৃষকরা। নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি। সেই নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
কৃষকদের ক্ষোভ, ধস যেখানে নেমেছে, তার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিল ভিকে জৈন নামে সড়ক নির্মাণ সংস্থার আর্থ মুভার। ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীদের ফোন করা হলেও কেউ কোনও উদ্যোগী হননি। পরে সড়কের অন্য অংশের নির্মাণকারী সংস্থা কাদামাটি সরিয়ে দেয়।
বরবটের কৃষক প্রবীন সুব্বা বলেন, ‘‘নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণ শুরু হয়েছে তিন বছর আগে। সেই থেকেই আমরা প্রতি বছর বর্ষায় ভুগছি। বেহাল রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অসুস্থ রোগীদের গাড়িও আটকে থাকে।’’ আর এক কৃষক বীর বাহাদুর বিশওয়া বলেন, ‘‘নতুন সড়ক নির্মাণ নিয়ে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু নির্মাণ সংস্থার গাফিলতির জন্য আমাদের ভুগতে হবে কেন?’’
নির্মাণকারী সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার রাজীব কুমার বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় ধস নেমেছে। বাগরাকোট থেকে রাস্তা পরিষ্কার করতে করতে পাহাড়ে উঠছিল আর্থ মুভার। তাই দেরি হয়েছে।’’ তাঁর আশ্বাস, কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করা হবে।