ছবি: সংগৃহীত
জমি জটে আটকে গিয়েছিল রেলের তৃতীয় লাইনের লাইন পাতার কাজ। শেষ পর্যন্ত সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের জমি রেলকে হস্তান্তরের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। ফলে নৈহাটি থেকে রানাঘাট তৃতীয় লাইনের কাজ ফের শুরু হবে বলে জানিয়েছে রেল। এর ফলে এই লাইনের যাত্রীদের দীর্ঘ দিনের দাবি মিটবে। উপকৃত হবেন বহু যাত্রী। সময় বাঁচবে যাতায়াতের।
তৃতীয় লাইন পাতার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিযয়টি জানান। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী পার্থকে চিঠি দিয়ে জানান, জমি সমস্যা মিটেছে। যে জমি নিয়ে সমস্যা ছিল, সেই জমি রেলকে হস্তান্তর করা হয়েছে। মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্প অনুমোদন করেছিলেন।
নৈহাটি থেকে রানাঘাট গুরুত্বপূর্ণ লাইন। রানাঘাট ছাড়াও কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, গেদে লোকাল এবং লালগোলা লাইনের মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন এই লাইন দিয়ে যাতায়াত করে। আপ এবং ডাউনে দু’টি করে লাইন রয়েছে। কিন্তু এই লাইনে ট্রেনের চাপ এত বেশি যে, প্রায়ই ট্রেনের দেরি হয়। সে কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই এই লাইনের নিয়মিত যাত্রীদের দাবি ছিল, আরও একটি লাইন পাতা হোক। তা হলে জরুরি সময়ে তা ব্যবহার করা যাবে। তা হলে ট্রেনযাত্রায় সময় এবং হয়রানি দুই কমবে। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। তখন তিনি প্রকল্পের অনুমোদন দেন। কিন্তু সে সময়ে কাজ শুরু হয়নি। ২০১৫ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে কল্যাণী পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। চাকদহ এলাকায় লাইন পাতার কাজ শুরু হলে সমস্যা দেখা দেয়। চাকদহের দক্ষিণ ভবানীপুর মৌজায় গিয়ে কাজ আটকে যায়। কারণ যে জমিতে লাইন পাতা হবে, সেটি রেলের নয়। জানা যায়, ওই জমির মালিক রাজ্য সরকার।
এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সম্প্রতি জানতে পারেন পার্থ। ১০ সেপ্টেম্বর তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে চিঠি লেখেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পৌঁছয় পার্থর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, জমির সমস্যার কথা জানার পরেই সংশ্লিষ্ট দফতরের জমি রেলকে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এর ফলে কাজ দ্রুত শুরু হবে। প্রচুর মানুষের সুবিধা হবে। পার্থ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই এলাকার মানুষ কৃতজ্ঞ।’’