সুবীর চাকী খুনের ঘটনায় আটক হল বাপি মন্ডল এবং জাহির গাজী। নিজস্ব চিত্র
গড়িয়হাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত মিঠু হালদারের বড় ছেলে ভিকির দুই সঙ্গীকে প্রথমে আটক করে কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন পুলিশ জেলার গোবর্ধনপুর উপকূল থানার বুড়োবুড়ির তট এলাকা থেকে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের দু’জনের নাম বাপি মণ্ডল এবং জাহির গাজি। দু’জনেই ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃত মিঠু মোটা টাকার কাজের টোপ দিয়ে ওই দু’জনকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন বলে সূত্রের খবর। তারাও খুনের ঘটনায় জড়িত বলে অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মিঠুকে জেরা করে তার বড় ছেলে ভিকির দুই সঙ্গীর নাম জানা যায়। বাপি নামে যুবকটির বাড়ি ডায়মন্ড হারবারের রামপুরে। তাঁর স্ত্রী বন্দনা পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সূত্র ধরেই বন্দনার সঙ্গে পরিচয় ছিল মিঠুর। পুজোর আগে মিঠুই বাপিকে কলকাতায় মোটা টাকার কাজের টোপ দেয়। এর পর স্থানীয় মঞ্জিতার বাসিন্দা জাহিরকে নিয়ে কলকাতায় রওনা দিয়েছিল বাপি৷ তদন্তকারীদের অনুমান, এই দু’জনেই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। কারণ, মিঠু গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাপি ও জাহির দু’জনেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়। সুন্দরবনে বাপির দিদির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন তাঁরা। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে সুন্দরবন পুলিশের সহযোগিতায় দু’জনকে আটক করে কলকাতা পুলিশ। তার পর সেখান থেকে তাদের কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।
আটক হওয়া দু’জন খুনের ঘটনায় কী ভাবে জড়িত বা তাদের ভূমিকা কী ছিল সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোন তথ্য জানায়নি পুলিশ। মিঠুর কথার সূত্র ধরে দু’জন আটক হলেও মূল অভিযুক্ত ভিকি এখনও অধরা।