Ashwini Vaishnaw

জমি-জট: রাজ্যের সহযোগিতা চান রেলমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর, বারাসত, বারুইপুর— নানা পথে মেট্রো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জমি এখনও বাধা হয়ে রয়েছে। মোদী সরকারের সময়ে ১০ বছরে ৩৮ কিলোমিটার মেট্রো পথ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৫
Share:

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি।

জমি-সমস্যা রাজ্যে রেল প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সারা রাজ্যে ৬১টি প্রকল্প জমি না পাওয়ার কারণে আটকে রয়েছে। বুধবার শিয়ালদহ স্টেশনে রেলের অনুষ্ঠানে এসে রেলের প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রাজ্যকে কিছুটা কটাক্ষ করে উন্নয়নের প্রশ্নে রাজনীতি সরিয়ে রেখে ‘ন্যায়’ প্রতিষ্ঠা করার কথাও বলেন তিনি। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় এখনই জমির ব্যবস্থা হলে আরও ২৬ কিলোমিটার পথে মেট্রো নির্মাণ করা যাবে বলেও তিনি জানান। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার দশ-পা এগিয়ে এলে রাজ্যকে অন্তত এক-পা এগোনোর মানসিকতা দেখাতে হবে। উন্নয়নের প্রশ্নে রাজনীতি না করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে দেখান।”

Advertisement

জমির কথা বলতে গিয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৮ কিলোমিটার মেট্রো পথ তৈরি হওয়ার কথা বলেন রেলমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর, বারাসত, বারুইপুর— নানা পথে মেট্রো সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জমি এখনও বাধা হয়ে রয়েছে। মোদী সরকারের সময়ে ১০ বছরে ৩৮ কিলোমিটার মেট্রো পথ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ দিন শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চালানোর পরিষেবার সূচনা করেন রেলমন্ত্রী। শিয়ালদহ স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে তিনি ওই পরিষেবার সূচনা করেছেন। নতুন ওই ব্যবস্থার ফলে আগের ৯ কোচের ট্রেনের তুলনায় প্রত্যেক ১২ কোচের ট্রেনে অন্তত ১০০০ থেকে ১২০০ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা সম্ভব হবে। এর ফলে সমসংখ্যক ট্রেন চালিয়ে প্রায় তিন লক্ষ বেশি যাত্রী পরিবহণ করা সম্ভব হবে।

Advertisement

এ দিন শিয়ালদহ থেকে মুর্শিদাবাদ-আজিমগঞ্জ শাখায় ভাগীরথী নদীর উপর নশিপুর সেতুতে যাত্রিবাহী ট্রেন চলাচলেরও সূচনা করেন রেলমন্ত্রী। দীর্ঘদিন জমি সমস্যার কারণে ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুর সংযোগকারী লাইন তৈরি করা যাচ্ছিল না। জট কাটিয়ে সেই কাজ সম্পূর্ণ করায় মুর্শিদাবাদ-আজিমগঞ্জ শাখায় রেল যোগাযোগ সুগম হবে। রেলমন্ত্রী, আজিমগঞ্জ-কাশিমবাজার ও কৃষ্ণনগর-আজিমগঞ্জ শাখায় মেমু ট্রেনের সূচনা করেন। শিয়ালদহ থেকেই উদ্বোধন করেন রাধিকাপুর-আনন্দবিহার এক্সপ্রেসের। শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রেনের বাতিল কোচ দিয়ে তৈরি রেস্তরাঁর উদ্বোধনও করেছেন।

সকালে কলকাতায় এসে তারাতলায় ব্রেথওয়েট কারখানায় স্বচ্ছতা পক্ষের কর্মসূচি শেষ করে বেলেঘাটার গান্ধী ভবনে যান রেলমন্ত্রী। গান্ধী জয়ন্তীতে মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিয়ালদহে রেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শিয়ালদহে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার, প্রাক্তন সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব ও মেট্রো রেলের জিএম উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement