অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে কুড়মি নেতাকে। ফাইল চিত্র।
কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতোর স্কুল বদলে দিল সরকার। শুক্রবারই সেই বদলির নোটিস তাঁকে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাচক্রে সে দিন রাতেই হামলা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে।
অভিষেকের কনভয়ে হামলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার রাজেশকে আটক করেছে পুলিশ। যে ১৫ জনের নামে অভিযোগ তুলে এফআইআর করা হয়েছিল, রাজেশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তার পরেই শনিবার তাঁকে আটক করা হয়।
রাজেশ পেশায় স্কুলশিক্ষক। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বনপুর হাই স্কুলে বাংলা পড়ান। শুক্রবারের নোটিস অনুযায়ী, তাঁকে কোচবিহারে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার চামতা আদর্শ হাই স্কুলে বাংলার শিক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
পশ্চিমবঙ্গ সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে রাজেশের কাছে বদলির চিঠি পাঠানো হয়েছে শুক্রবার। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁকে বর্তমান স্কুল ছাড়তে হবে। তার পরের তিন দিনের মধ্যে নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে রাজেশকে।
বিতর্কের সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। ঝাড়গ্রাম শহরে ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’র ‘রোড শো’ শেষ করে লোধাশুলি হয়ে অভিষেকের কনভয় শালবনির দিকে যাচ্ছিল। সেই যাত্রাপথেই ঘটনাটি ঘটে। ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের দু’ধারে তখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে ‘চোর চোর’ বলে স্লোগানও দেওয়া হয়। এর পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতার কনভয়ের শেষে থাকা মন্ত্রী বিরবাহার গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। মন্ত্রীর গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে যায় তাতে।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারা হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। এই ঘটনার পর রাজেশ-সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। রাজেশ ছাড়াও আরও চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম অনিত মাহাতো, মনমোহিত মাহাতো, অজিত মাহাতো এবং অনুপ মাহাতো। তাঁদের ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।