শুভেন্দু অধিকারী ও কুণাল ঘোষ।
মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন দ্রুত কার্যকর করতে হাই কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। সংবিধান উদ্ধৃত করে এ বিষয়ে ঢিলেমি নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন। পাল্টা তৃণমূল শুভেন্দুকে বলল, ‘তোমার বাবা এখন কোন দলে?’ শুভেন্দুর পরিবার তো ‘দলবদলু পরিবার।’ দলত্যাগ নিয়ে ‘বড় বড় কথা’ তাঁর মুখে মানায় না।
মঙ্গলবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘সংবিধানে আছে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে হবে। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষের আমলে গত ১০ বছরে দলত্যাগ বিরোধী আইন বিধানসভায় কার্যকর করা হয়নি। গাজোলের বিধায়কের ২৩ বার শুনানি হওয়ার পরেও বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়নি। সেই তথ্য আমাদের হাতে আছে।’’ রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পরই পাল্টা আক্রমণ করে তৃণমূল। শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিরোধী দলনেতার দলবদলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। টেনে আনেন শিশির অধিকারীর বিজেপির মঞ্চে আসার প্রসঙ্গও। টুইটারে কুণাল লিখেছেন, ‘দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে এত কথা কাকে শেখাচ্ছ? তোমার বাবা এখন কোন দলে? অন্যকে নিয়ে বলার হলে আগে প্রকাশ্যে বলো তোমার বাবা শিশির অধিকারী এখন কোন দলে?’
ভোটের আগে বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গে এসে মমতাকে ‘দিদি ওওওওও দিদি’ বলে বহুবার ব্যঙ্গাত্মক সম্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলের তরফে মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুকেও ‘ওওওও শুভেন্দু’ বলে সম্বোধন করেন কুণাল। তাঁর পরিবারের দলবদলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘দলবদলু পরিবারের আবার বড় বড় কথা।’
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ করা নিয়ে শুনানি ছিল মঙ্গলবার। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে সেই শুনানিতে অবশ্য যোগ দেননি মুকুল। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি স্পিকারের কাছে সময় চেয়ে নেন। মুকুলের অনুরোধে শুনানির দিন পিছিয়েও দেওয়া হয়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মুকুলের শুনানির দিন ধার্য করেন বিমান। তারই প্রতিবাদে হাই কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছিলেন শুভেন্দু। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহেই এ নিয়ে হাই কোর্টে যাবেন। দ্রুত দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা অথবা নির্দিষ্ট সময়ে শুনানি শেষ করা—এই দুই দাবিকে সামনে রেখেই হাই কোর্টে আর্জি জানানো হবে বলে জানান রাজ্যে বিজেপির প্রধান মুখ শুভেন্দু।