RG Kar Medical College And Hospital Incident

আর জি কর-প্রতিবাদে ‘কুৎসা’, শিল্পীদের বয়কটের ডাক কুণালের

আন্দোলন-পর্বের নানা সময়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন চলচ্চিত্র, সঙ্গীত-সহ শিল্প জগতের বহু পরিচিত মুখ। প্রতিবাদ স্বাভাবিক জানিয়েও দলের বিরুদ্ধে ‘কুৎসা ও মিথ্যা’ প্রচার করা হয়েছিল বলে কুণাল সোমবার সমাজমাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:১৭
Share:

কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো শিল্পীদের একাংশের বিরুদ্ধে কুৎসার অভিযোগ তুলে এবং তাঁদের বয়কট করার ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেই শিল্পীদের রাজ্য জুড়ে দলের বিভিন্ন নেতাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে বিরোধীদের বক্তব্য, শিল্পীদের ক্ষেত্রে তৃণমূল আদতে যে ‘হুমকি-প্রথা’য় বিশ্বাস করে, এটা তারই প্রমাণ।

Advertisement

আন্দোলন-পর্বের নানা সময়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন চলচ্চিত্র, সঙ্গীত-সহ শিল্প জগতের বহু পরিচিত মুখ। প্রতিবাদ স্বাভাবিক জানিয়েও দলের বিরুদ্ধে ‘কুৎসা ও মিথ্যা’ প্রচার করা হয়েছিল বলে কুণাল সোমবার সমাজমাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন। তার পরেই তাঁর সংযোজন, “তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন এঁদের ডাকা হবে? তিন মাস আগে ‘চটিচাটা’, সরকার ফেলে দেব, বাংলাদেশের মতো পালাবে বলা শিল্পীদের আর যা-ই হোক, এখন তৃণমূল নেতাদের বিনোদনের মঞ্চে ডাকা যেতে পারে না। ওই ক’জনকে তৃণমূল কর্মীরা বয়কট করুন। এ বার পাড়ার জলসায় ওই ক’জনের জায়গা থাকা উচিত না। তৃণমূলপন্থীদের অনুষ্ঠানে তো নয়ই।” পাশাপাশি, ওই পর্বে দলের নেতাদের একাংশ যে ‘নীরবে বসে জল মাপছিলেন’ বলেও দাবি করেছেন কুণাল।

কুণালের এই মন্তব্যকে সামনে রেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, “তৃণমূলের দখলদারির মানসিকতার প্রমাণ পাওয়া গেল। কোনও শিল্পী তাঁর শিল্পী-সত্তার জন্য সরকারি সম্মান পেলে বা সরকারি দলের মঞ্চে অনুষ্ঠান করলে, তিনি কোনও ঘটনায় প্রতিবাদ করতে পারবেন না? এটাই তো হুমকি-প্রথা!” একই সুরে সরব হয়েছে সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “কারও সঙ্গে কোথাও মতের মিল না হলেই তাঁকে বয়কট করতে হবে, এটা একা কুণাল ঘোষ নয়, গোটা তৃণমূলেরই মানসিকতা। শুরুটা করেছিলেন বালু (‌জ্যোতিপ্রিয়) মল্লিক। আর জি করের মতো নিন্দনীয় ঘটনায় কেউ প্রতিবাদ করলে, কার্যত ফতোয়া দিয়ে তাঁদের অনুষ্ঠান থেকে বয়কট করার বার্তা দেওয়া হল।”

Advertisement

বিতর্কের মুখে কুণাল অবশ্য তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “মতাদর্শগত বিরোধী, যাঁরা রাজনৈতিক প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু যাঁরা কুৎসা করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, গালে জুতো মারতে চেয়েছেন, তাঁদের যেন তৃণমূল নেতাদের অনুষ্ঠানে দেখা না যায়। সংশয় থাকলে নেতারা দলের সঙ্গে তালিকা ধরে কথা বলে নিতে পারেন!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement