মুকুল রায়ের সল্টলেকের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক কারণে মাঝে দূরত্ব বেড়েছিল রায় পরিবারের সঙ্গে। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুতোটি আলগা হয়নি। মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুতে সেই ব্যক্তিগত বোঝাপড়াকেই এ বার তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, রায় পরিবারের অন্দরে যাতায়াত ছিল তাঁর। মুকুল-জায়ার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত চেনাশোনা ছিল। আশা করেছিলেন, কৃষ্ণা সুস্থ হয়ে উঠবেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
মুকুলের পাশে থাকতে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে পৌঁছন মমতা। সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন তিনি। মুকুলের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথাও বলেন। সেখান থেকে বেরোনোর সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘মুকুল আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী। ওর স্ত্রীকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতাম। অনেক বার ওদের পরিবারে গিয়েছি। মা যখন বেঁচেছিল দেখাও হয়েছে। ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে উঠবে। সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু করা গেল না।’’
মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৫টা নাগাদ চেন্নাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুকুল-জায়া কৃষ্ণা। বুধবার তাঁর পালৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘শুভ্রাংশু চেন্নাইয়ে রয়েছে। কাল সকাল ৭টায় মরদেহ নিয়ে ফিরবে ওরা। এখান থেকে ছেলের সঙ্গে কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে মরদেহ নিয়ে যাবে মুকুল। তার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।’’
করোনায় আক্রান্ত হলে গত ১১ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মুকুল-জায়াকে। ভেন্টিলেশনের পর দু’সপ্তাহ একমো সাপোর্টেও রাখা হয় তাঁকে। তার পর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাই। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই দুঃসময়ে মুকুলের পাশে থাকতে সকাল থেকেই তাঁর সল্টলেকের বাড়িতে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ভিড় উপচে পড়ে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসুও গিয়ে দেখা করেন মুকুলের সঙ্গে।