হুঁশ নেই দুর্ঘটনাতেও, বাইক বেপরোয়াই

বর্ষবরণের মরসুমে রাতে বেপরোয়া মোটরবাইকের পরপর দুর্ঘটনাতেও ঘুম ভাঙছে না শহরের। শনিবার রাতে ফের এজেসি বসু রোডে মোটরবাইক-দুর্ঘটনায় জখম হন দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, ১২টা ২০ নাগাদ জোড়া গির্জার কাছে একটি গাড়ির শো-রুমের সামনে দ্রুত গতিতে ঘোরাতে গিয়ে পিছলে যায় মোটরবাইকটি। জখম হন অনিল মল্লিক ও রাজু মল্লিক নামে দুই আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:২২
Share:

বর্ষবরণের মরসুমে রাতে বেপরোয়া মোটরবাইকের পরপর দুর্ঘটনাতেও ঘুম ভাঙছে না শহরের। শনিবার রাতে ফের এজেসি বসু রোডে মোটরবাইক-দুর্ঘটনায় জখম হন দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, ১২টা ২০ নাগাদ জোড়া গির্জার কাছে একটি গাড়ির শো-রুমের সামনে দ্রুত গতিতে ঘোরাতে গিয়ে পিছলে যায় মোটরবাইকটি। জখম হন অনিল মল্লিক ও রাজু মল্লিক নামে দুই আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনের রাতে একটি মোটরবাইক তীব্র গতিতে এসে কেষ্টপুরের সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা মারলে বাগজোলা খালে পড়ে যান তিন আরোহী। সঞ্জয় বিশ্বাস ও গোপাল দাস নামে দুই যুবক কোনও ভাবে উঠে এলেও শিবশঙ্কর মিস্ত্রি নামে এক যুবক উঠতে পারেননি। তিন দিন পরে রবিবার তার দেহ উদ্ধার হয়েছে।

২৪ ডিসেম্বর গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে মোটরবাইকের সঙ্গে ম্যাটাডরের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন বো ব্যারাকের বাসিন্দা ক্লাইড ভেনচুরা (২৩)। পুলিশের দাবি, ক্লাইড দ্রুতগতিতে বাইক চালাতে চালাতেই ফোনে কথা বলছিলেন। তখনই উল্টো দিক থেকে ম্যাটাডরটি তাঁর সামনে চলে আসে। মেডিক্যালে ওই তরুণকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

ওই রাতেই মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরও একটি দুর্ঘটনা ঘটে এজেসি বসু রোড উড়ালপুলে। পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বাইক-আরোহী আলকাশ আলি মণ্ডল (২৪) এবং রাহুল আলি মণ্ডলের (২২)। পুলিশ জানায়, দুই যুবকের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। একটি লরিকে অতিক্রম করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা অন্য একটি লরিকে ধাক্কা মারলে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন দু’জনেই। পুলিশ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে আলকাশকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরদিন সকাল ৬টা নাগাদ মৃত্যু হয় রাহুলের।

এর আগে ২১ ডিসেম্বরও লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলে বেপরোয়া বাইক চালিয়ে ছিটকে পড়েন শচীন হেলা নামে এক তরুণ। রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা তাঁকে সেখানেই ফেলে গেলে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত ঘোষণা করা হয় শচীনকে।

পরপর দুর্ঘটনাতেও সচেতনতার হাল যে সেই তিমিরেই, শনিবার ফের দুর্ঘটনাই তার প্রমাণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement