এ ছবি দেখা যাবে এ শহরেও। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
এ বার কলকাতাকে পথ দেখাল হাওড়া। হাওড়ার মতো কলকাতায় পুরসভার তৈরি বাসছাউনিগুলিতে থাকবে আপৎকালীন নম্বর। এমনই কলকাতা পুরসভার পরিকল্পনা।
হাওড়া ময়দান, বালি-সহ হাওড়া শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বাসছাউনিতে আপৎকালীন নম্বরগুলি দেওয়া থাকে। এখানে নিকটবর্তী থানা, কোনও মহিলা ইভটিজিং-এর শিকার হলে কোন নম্বরে, কী ভাবে এসএমএস করবেন সবই লেখা রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল হাওড়া কমিশনারেট। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সমন্বয় বাড়াতেই হাওড়া সিটি পুলিশের এই উদ্যোগ।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডের জানান, রাস্তায় কোনও মহিলা ইভটিজিং-এর শিকার হলে বাসছাউনিতে দেওয়া নম্বরে ফোন করলে পুলিশের পক্ষে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন অনেকটাই সহজ হয়। এ ছাড়া কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নিকটবর্তী থানায় বাসিন্দারা বা যাত্রীরা সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। হাওড়া ময়দানের এক বাসিন্দা তৃষা রায় বলেন,‘‘অনেকেই থানার নম্বর জানতেন না। কিন্তু বাসছাউনিতে এ ভাবে নম্বর দেওয়ার ফলে সুবিধাই হয়েছে। পুলিশের এটা খুব ভালো উদ্যোগ।” হাওড়ার পুলিশ কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চলাচলের সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।” হাওড়া পুরসভার মেয়র তৃণমূলের রথীন চক্রবর্তী জানান, পুরসভার অধীনে যে বাসছাউনিগুলি রয়েছে সেগুলিতেও একই ভাবে নম্বর রাখার ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এমনিতে কলকাতা পুলিশের কিয়স্কে কিছু নম্বর দেওয়া থাকে। তবে বাসছাউনিতে অনেক বেশি লোকজন আসেন। ফলে সেখানে নম্বর দেওয়া থাকলে বেশি সুবিধা হবে। কলকাতা পুরসভা হাওড়ার এই বিষয়টি জানার পরেই খোঁজ খবর নিতে শুরু করে। হাওড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া দেখে কলকাতা পুর-এলাকায় এই নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই উদ্যোগে খুশি কলকাতার বাসিন্দারা। মানিকতলার বাসিন্দা শোভা দে বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এই শহরে মেয়েরা অনেকটা সুরক্ষিত থাকবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে বাসছাউনি দু’ভাবে করা হয়ে থাকে। এক, বিধায়ক বা সাংসদ তহবিল থেকে। দুই, বিজ্ঞাপন সংস্থার মাধ্যমে। পুরসভা দরপত্র ডেকে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থাকে দিয়ে যে বাসছাউনিগুলি তৈরি করে আপাতত সেখানেই নম্বর দেওয়া হবে বলে জানান কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া সিটি পুলিশের এই উদ্যোগটি খুবই ভালো। আমরাও কলকাতা শহরের বাসছাউনিগুলিতে এই নম্বর রাখব। সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে।”