বাসের কন্ডাক্টরের হাতে টিকিটের গোছার বদলে শুধু একটি মেশিন। গন্তব্য জানালেই মেশিনে দিয়ে দিচ্ছেন। বেরিয়ে আসছে যাত্রার তারিখ, সময়, বাস সংস্থার নাম, যাত্রী-সংখ্যা ও বাসের নম্বর ছাপানো টিকিট।
ভিন্ রাজ্যের সরকারি বাসে এই ‘ইলেকট্রনিক টিকিট মেশিন’ (ইটিএম) ব্যবস্থা চালু হয়েছে অনেক দিন। এ রাজ্যে এই প্রথম চালু হতে চলেছে সিএসটিসি-র এগ্জিকিউটিভ রুট (ই-রুট)-এর বাসগুলিতে। সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভীষ্মদেব দাশগুপ্ত। ঠিক হয়েছে, আগামী দু’এক মাসেই এই ব্যবস্থা চালু করে দেওয়া হবে। সিএসটিসি সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে কয়েকশো জেএনএনইউআরএমের বাস পথে নামায় এক লাফে ন’শোর কাছাকাছি বাস হয়ে গিয়েছে নিগমের। তাল মিলিয়ে বেড়েছে টিকিটের চাহিদাও। পুরনো ছাপাখানায় অল্পসংখ্যক চালু মেশিনে টিকিট ছাপিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। আপাতত ই-রুটে চলা ৫০টি বাসের জন্য দশ হাজার টাকা দামের ইটিএম মেশিন একটি করে কেনা হবে।
হাওড়া থেকে যাদবপুর, সল্টলেক, হরিদেবপুর, ব্যারাকপুর, পর্ণশ্রী এবং নিউ টাউন থেকে পর্ণশ্রী রুটের বাসে শীঘ্রই ইটিএম ব্যবহার শুরু হবে বলে জানান ভীষ্মদেববাবু। পরবর্তী সময়ে নিগমের সব বাসেই এই প্রক্রিয়া চালু করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএসটিসি-র কর্তারা।