এ ভাবেই রাস্তায় অপেক্ষা। ছবি: অরুণ লোধ।
পূর্ত দফতরের অনুমোদন এসেছে। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মেট্রোর কাজ। ফলে শুরু হয়নি বেহালার সখেরবাজারে যাত্রিছাউনি তৈরির কাজ। কবে কাজ শুরু হবে সে সম্পর্কে কলকাতা পুরসভা তরফে কিছু জানা যায়নি।
পুরসভা সূত্রে খবর, সখেরবাজারে ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে যাত্রিছাউনি তৈরির পরিকল্পনা বহু দিনের। এখানে ছবি দিয়ে সাজানো একটি যাত্রিছাউনির নকশাও তৈরি করে পুরসভা। কিন্তু রাস্তাটি পূর্ত দফতরের অন্তর্গত। ফলে পূর্ত দফতরের অনুমতি না পেলে যাত্রিছাউনি তৈরির কাজ শুরু করা সম্ভব ছিল না। পুরসভা পূর্ত দফতরের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। অবশেষে সম্মতিও মেলে। কিন্তু পুরসভার অভিযোগ, অনুমতি আসতে দেরি হয়েছে। এর মধ্যেই ওখানে মেট্রোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে যাত্রিছাউনি তৈরির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানান, এই রাস্তায় যাত্রিছাউনি তৈরির বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে এখনও কোনও কথা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন এই অঞ্চলে একটি যাত্রিছাউনির দাবি করছিলেন। এখান থেকে শিয়ালদহ, হাওড়া, টালিগঞ্জ, সরশুনা এবং ডায়মন্ড হারবার রুটের বাস যায়। ট্যাক্সি এবং অটোরিকশাও এই মোড়ে দাঁড়ায়। আগে এখানে পূর্ত দফতরের তৈরি কংক্রিটের যাত্রিছাউনি ছিল। বাসিন্দারা জানান, যাত্রিছাউনিটি ভেঙে যাওয়ার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে একটি যাত্রিছাউনি তৈরি করেন। কিন্তু সেটির অবস্থাও খারাপ। স্থানীয় বাসিন্দা বিবেক রায় বলেন, “ছাউনিটিতে দাঁড়াবার জায়গা নেই। বৃষ্টি হলে খুবই অসুবিধা হয়। একটি নতুন ছাউনির খুব প্রয়োজন।”
স্থানীয় কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে বলেন, “এখানে ছাউনি খুব জরুরি। এই ব্যাপারে পুরসভাকে জানিয়েছি।”
রাজ্য পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, নিয়মানুযায়ী এই ধরনের কোনও প্রকল্প করতে গেলে লিখিত ভাবে তাদের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি দেওয়ার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। ফলে একটু সময় লাগে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে পুরসভাকে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।