সেমিনারে জিজা ঘোষ। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
অক্টোবরের ২০ তারিখ। কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল জিজা ঘোষকে। নিজে সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত। অথচ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতে হুইলচেয়ারে বসেই বিশ্ব ঘুরে বেড়ান।
কলকাতা বিমানবন্দরে সে দিন জিজাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল হুইলচেয়ারের জন্য। এমনকি, তাঁকে একা দেখে বিমানে উঠতে দেওয়া যাবে না বলেও প্রথমে জানানো হয়। পরে ভুল বুঝতে পারে উড়ান সংস্থা। ২০১২ সালে কলকাতা থেকেই গোয়ার পথে জিজাকে তাঁর প্রতিবন্ধকতার কারণে বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট ওই উড়ান সংস্থাকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে।
সেই জিজাই মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কর্মীদের সামনে জানালেন আর দশ জন বিমানযাত্রীর মতোই, ঠিক কতটা সম্মান তাঁরাও আশা করেন। যে সব বিমানযাত্রী জিজার মতোই ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’, তাঁদের কী ভাবে সসম্মানে সামলাতে হবে, কী ভাবে তাঁদের যাত্রা সুখকর করা যায়, তা নিয়েই আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কলকাতা বিমানবন্দরের ওই আলোচনাচক্রে হাত মিলিয়েছিল কলকাতায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনও।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘বিশেষজ্ঞ হিসেবে কলকাতায় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস এবং মেডিকা থেকে মনোরোগের চিকিৎসকেরা এসেছিলেন। সেখানে জিজা খোলামেলা ভাবেই বলেন, কী ধরনের আন্তরিক ব্যবহার, সহানুভূতি তাঁরা আশা করেন।’’ কৌশিকবাবু জানিয়েছেন, আজ, বুধবারও আলোচনাচক্রে উপস্থিত থাকার জন্য অভিবাসন, শুল্ক দফতর, সিআইএসএফ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। জিজা আবার আসবেন।