এই বাড়িতেই মৃত্যু হয় যুবকের। —নিজস্ব চিত্র
বালিগঞ্জের বহুতলে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হল রহস্য। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। প্রাথমিক তদন্তের পর যদিও পুলিশের দাবি, উঁচু থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন ওই যুবক। যদিও ওই যুবকের ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা, সুবোধকুমার যাদব নামে বছর পঁচিশের ওই যুবক রান্নার কাজ করতেন দেওদার স্ট্রিটের ওই বহুতলের ৭বি ফ্ল্যাটে। ওই ফ্ল্যাটের মালিক দীপক বাচাওয়াত। পেশায় ব্যবসায়ী দীপকের বাড়িতে প্রায় ৫ বছর ধরে কাজ করতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান ফ্ল্যাটের নীচে পড়ে থাকতে। সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃতের ভাই বিনীত যাদব বলেন, ‘‘দীপক আমাদের ফোন করে খবর দেন। তিনি বলেন আমার ভাই সাত তলা থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন।” তবে বিনীত এবং সুবোধের পরিবারের দাবি, সুবোধ পড়ে মারা যাননি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁদের যুক্তি, দীপকের চোয়ালের তলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। কেউ উপর থেকে পড়ে গেলে চোয়ালের নীচে আঘাত লাগবে কেন? বালিগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে তদন্তে সহায়তা করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।
আরও পড়ুন: ফের উত্তরপ্রদেশ, বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিধবা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ
আরও পড়ুন: কোথায় ছিলেন মমতা, খোঁজ রাখতেন তাপসের? তীব্র আক্রমণে বিজেপি-বাম-কংগ্রেস
প্রাথমিক তদন্তের পর তদন্তকারীদের অনুমান, উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হলে শরীরে যে ধরনের আঘাত সাধারণ ভাবে থাকার কথা, তাই রয়েছে সুবোধের দেহে। তদন্তকারীদের যুক্তি, পড়ার সময় কোনও কিছুতে ধাক্কা খাওয়ার ফলেই চোয়ালের তলায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়ে ম়ত্যু হয়েছে বলেই আমাদের প্রাথমিক ধারণা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতামত পাওয়ার আগে চূড়ান্ত ভাবে বলা সম্ভব নয়।” ওই তদন্তকারী আরও বলেন, ‘‘আমরা মৃতের পরিবারের অভিযোগও খতিয়ে দেখছি।’’ তবে ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব) দেবস্মিতা দাসকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।