চাকরির খোঁজে এসে লরিতে পিষ্ট

শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ থানার সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের এইচবি টাউন মোড়ের কাছে। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০২:৫৯
Share:

বিশ্বজিৎ দত্ত

চাকরির চেষ্টা করতে সকালেই বন্ধুর বাড়িতে চলে এসেছিলেন বছর সাতাশের যুবক। দুপুরে সাইকেলে চেপে দুই বন্ধু মিলে বেরিয়েছিলেন চাকরির জায়গায় কথা বলতে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বন্ধুর বাড়িতে আসা ওই যুবকের। আর তাঁর সেই বন্ধু গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ থানার সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোডের এইচবি টাউন মোড়ের কাছে। ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ দত্ত। আহত অবস্থায় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর বন্ধু জাহানাওয়াজ গাজি (২৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘোলার মুসলমানপাড়ার বাসিন্দা জাহানাওয়াজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল বিশ্বজিৎ। তিনি বসিরহাটের স্বরূপনগর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। বিশ্বজিতের চাকরির প্রয়োজন ছিল। তাই তিনি জাহানাওয়াজকে একটি কাজ খুঁজে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। এ দিন সকালে বসিরহাট থেকে ঘোলায় আসেন বিশ্বজিৎ। তাঁর জন্য সোদপুরে একটি কাজও ঠিক করে রেখেছিলেন জাহানাওয়াজ। দুপুরে সেখানে যাওয়ার জন্য দু’জনে একটি সাইকেলে চেপে রওনা দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাইকেলটি চালাচ্ছিলেন জাহানাওয়াজ। পিছনে বসেছিলেন বিশ্বজিৎ। এইচবি টাউনের কাছে আচমকাই একটি মালবোঝাই লরি সাইকেলটিকে পিছন থেকে ধাক্কা মারলে রাস্তার ডান দিকে পড়ে যান বিশ্বজিৎ। লরিটি তাঁর মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। রাস্তার বাঁ দিকে পড়ায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর চোট পান জাহানাওয়াজ। দু’জনকেই পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা বিশ্বজিৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পরে এলাকার লোকজন এবং টহলদার পুলিশ তাড়া করে সোদপুর ট্র্যাফিক মোড় থেকে লরিটিকে আটক করে। লরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায়ই ওই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে এইচবি টাউন মোড় অবরোধ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ এসে পরে অবরোধ তুলে দেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement