ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
বচসা চলার সময়ে মারধরের জেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা এলাকার একটি ক্লাবের মাঠে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য অভিযুক্তদের সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাওড়ার সিটি পুলিশের কর্তারা।
তদন্তকারীরা জানান, মৃতের নাম এরশাদ শেখ (৩০)। তিনি আদতে নদিয়ার বাসিন্দা হলেও, কাজের সুবাদে হাওড়া এলাকায় থাকতেন। এ দিন ভোরে মালিপাঁচঘরার বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে ওই যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ক্লাবের মাঠে একটি বৈদ্যুতিন সংস্থার মালপত্র রাখা থাকে। সেখান থেকেই ওই সব মালপত্র অন্যত্র সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়াও ওই মাঠে অটো, গাড়ি-সহ অন্য যানবাহন রাতে রাখা হয়। পুলিশ জানায়, প্রতি রাতেই ওই মাঠে ওই সংস্থার কয়েক জন ডেলিভারি কর্মী ঘুমোন। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রচরণ নন্দী বলেন, ‘‘ওই ডেলিভারি কর্মীরা মাঠের গেটে তালা দিয়ে রাখেন। ফলে বাইরের কারও পক্ষে মাঠের ভিতরে ঢোকা সম্ভব নয়।’’
ফলে স্থানীয়দের প্রশ্ন, তা হলে এরশাদ ওই মাঠের ভিতরে পৌঁছলেন কী ভাবে?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাতে সন্দেহজনক ভাবে ওই মাঠের আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন এরশাদ। ডেলিভারি কর্মীদের সঙ্গে তাঁর এক বার বচসাও বেধেছিল। বচসা চলার সময়ে এরশাদকে মারধর করা হয়। তবে কী জন্য বচসা কিংবা মারধর তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিহারের বাসিন্দা নুর আলম নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি ওই বৈদ্যুতিন বিপণির ডেলিভারি কর্মী। হাওড়া সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘এক জনকে গ্রেফতার করে আমরা বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি। কী
কারণে ওই যুবকের সঙ্গে অভিযুক্তদের বচসা হয়, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
মাঠটি আপাতত সিল করে
দেয় পুলিশ।