অটোয় তখন সুরঞ্জনা ও চালক ছাড়াও চৈতালি দাস নামে বছর চল্লিশের এক মহিলা ছিলেন। প্রতীকী ছবি।
চলতি সপ্তাহে তৃতীয় বার। পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এ বার অঙ্গহানি হল এক তরুণীর। পুলিশ জানায়, বছর পঁচিশের ওই তরুণীর নাম সুরঞ্জনা সরকার। বেপরোয়া গতিতে ছুটতে থাকা একটি অটো উল্টে যাওয়ায় জখম হন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর বাঁ হাতের একটি আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়। তাঁর পরিবারের দাবি, ওই হাতের অন্য একটি আঙুল নিয়েও আশা দিতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। আপাতত কাঁকুড়গাছির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আইডি হাসপাতালগামী অটোয় ওঠেন সুরঞ্জনা। দ্রুত গতিতে থাকা অটোটি সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কাঁকুড়গাছি রেল সেতুর কাছে রাস্তার হাম্প পেরোনোর সময়ে উল্টে যায়। অটোয় তখন সুরঞ্জনা ও চালক ছাড়াও চৈতালি দাস নামে বছর চল্লিশের এক মহিলা ছিলেন। তিনিও জখম হন। ঘটনার পরেই চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
জখম দু’জনকেই উল্টোডাঙার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কাশীপুরের বাসিন্দা চৈতালিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সুরঞ্জনাকে এসএসকেএমে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা। দুপুরে সেখানেই অস্ত্রোপচারের পরে তাঁর একটি আঙুল বাদ যায়। ঋত্বিক বিশ্বাস নামে সুরঞ্জনার এক আত্মীয় জানান, রোজকার মতো এ দিনও কাঁকুড়গাছির একটি কোচিংয়ে পড়াতে যাচ্ছিলেন সুরঞ্জনা। তাঁর কথায়, ‘‘সুরঞ্জনা পিছনের আসনে ছিল। জ্ঞান ফিরতে আমাদের বলেছে, অটোচালক খুব জোরে চালাচ্ছিলেন। ওর বাঁ হাতের দুটো আঙুলে গুরুতর চোট লেগেছে। একটা রাখা যায়নি। অন্যটায় পচন ধরলে সেটিও বাদ দিতে হতে পারে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের একাধিক ঘটনার পরে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই শিয়ালদহের জগৎ সিনেমা হলের সামনে বাসের ধাক্কায় পায়ে গুরুতর চোট পান এক মহিলা। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরে এ দিন দুপুরে তাঁর ওই পা বাদ দিতে হয়। বৃহস্পতিবারও রেষারেষি ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর দু’টি ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়, আর এক জন গুরুতর চোট পান। এ দিন সেই জখম ব্যক্তির মৃত্যু হয়।