ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশ ও সমাজমাধ্যমের দৌলতে ৩৭ বছর বয়সে এসে নিজের পরিবারকে আবার ফিরে পেলেন গাজিয়াবাদের এক যুবক। মাত্র সাত বছর বয়সে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর কেটে যায় ৩০ বছর। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে অবশেষে নিজের বাড়ি ও পরিবার খুঁজে পেয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই যুবকের নাম রাজু। ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বোনের সঙ্গে স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন তিনি। বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানান রাজু।
রাজু ও তাঁর পরিবার গাজিয়াবাদের সাহেবাবাদে থাকতেন। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানায় রাজুর পরিবার। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও রাজুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এক সময় হাল ছেড়ে দেয় পুলিশও। তাই বিষয়টি অমীমাংসিত থেকে যায়। রাজু জানান, অপহরণকারীরা তাঁকে রাজস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছিল , যেখানেই তিনি এত বছর বসবাস করছিলেন।
রাজস্থানে পৌঁছনোর পর রাজুকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়। সাত বছর বয়স থেকেই কাজ করানো হত তাকে। খাবার হিসাবে দৈনন্দিন বরাদ্দ ছিল একটা মাত্র রুটি। রাতে তাকে বেঁধেও রাখা হত, যাতে সে পালাতে না পারে। এই ভাবে কাটে তিন দশক। যে বাড়িতে রাজু বন্দি ছিলেন সেখান থেকে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে ট্রাকে চেপে দিল্লি চলে আসেন। রাজুর শুধুমাত্র নিজের শহরের নামটুকুই মনে থেকে গিয়েছিল। বাবা-মার নামও স্মৃতি থেকে মুছে গিয়েছিল তাঁর। রাজধানীতে পৌঁছে অনেক থানায় ঘোরাফেরা করলেও কোনও সাহায্য মেলেনি। দিন পাঁচেক আগে তিনি গাজিয়াবাদের খোদা থানায় পৌঁছন। সেখানকার আধিকারিকরা রাজুর দেখভাল করেন ও রাজুর সম্পর্কে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। সেই পোস্ট দেখে রাজুর মামা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে রাজুর পরিবার তাঁকে ফিরিয়ে নিতে থানায় আসে।