সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি- ফেসবুক থেকে নেওয়া।
তাঁকে মৌখিকভাবে যৌন হেনস্থার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এক ওলা-চালকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দীর্ঘ পোস্ট করলেন লেখক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লেখকের দাবি, শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ লেক মার্কেটের মোড়ে দাঁড়িয়ে একটি ওলা ক্যাব বুক করেন তিনি। এর পর চালককে ফোন করে সঙ্গীতা জানতে চান তিনি কোথায় আছেন। তাঁর অভিযোগ, এর পরই বাপি সর্দার নামে ওই চালক তাঁকে ফোনে যৌন হেনস্থার হুমকি দেন, ব্যবহার করেন আপত্তিকর শব্দ।
এর পরেই অ্যাপ থেকে ওই ক্যাবটিকে বাতিল করে দিয়েছেন বলে লেখক জানিয়েছেন। সঙ্গীতার অভিযোগ, তিনি চালকের অভব্য ব্যবহারের কারণে ক্যাব বাতিল করলেও তাঁর কাছে থেকে ‘ক্যানসেলেশন চার্জ’ কেটে নেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে লেখক সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সারাদিন তাঁর ট্রমার মধ্যে কেটেছে। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা লেক মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে এ ধরনের হুমকি শোনার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এমন একটা ঘটনা দিনের বেলায় ঘটল। রাতে মহিলারা অ্যাপ নির্ভর ক্যাব ব্যবহার করতে গেলে নিরাপত্তার অভাব বোধ তো করবেনই।” সঙ্গীতার অভিযোগ, এর আগেও তাঁর পরিচিত অনেকের সঙ্গে ওলা চালকেরা দুর্ব্যবহার করেছে, কিন্তু ওই অ্যাপ ক্যাব সংস্থা থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সঙ্গীতার ফেসবুক পোস্ট
আরও পড়ুন: মোবাইল থেকে দূরে সরতেই উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৯ নম্বর কলকাতার স্রোতশ্রীর
যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তাঁর প্রতি, যে ভাবে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাতে দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে উঠতে পারছেন না লেখক। সঙ্গীতার বক্তব্য, “সহ-নাগরিক, বিশেষ করে মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমি ফেসবুক পোস্টে ওলা ক্যাব চালকের পরিচয়, মোবাইল নম্বর প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি। যাতে এ জাতীয় ঘটনা আর না ঘটে। ওলা অন্তত ব্যবস্থা নেয়।”
আরও পড়ুন: যক্ষ্মার টিকায় কি জব্দ হতে পারে করোনা? কী বলছেন বিজ্ঞানী ও ডাক্তাররা?
লকডাউন এবং কোভিড সংক্রমণের মতো পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে এ জাতীয় অপরাধের সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন সঙ্গীতা। তাঁর মত, অনেক অপরাধীই ভাবছে, আইন কোনও ব্যবস্থা নেবে না। যদিও ফেসবুক পোস্টে পুলিশকর্মীদের প্রতিও সহমর্মিতা জানিয়েছেন লেখক। এ ব্যাপারে এ দিন রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি লেখক। চেষ্টা করেও ওলার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।