উদ্যোগ: অটোচালকদের শোধরাতে শহরে ফের কর্মশালা।
সাধারণ মানুষ জানেন সমস্যাগুলি। সে সব ঝঞ্ঝাট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল পুলিশ মহলও। তা সামাল দিতে নেওয়া হয়েছে নানা পুলিশি ব্যবস্থাও। তাতেও যে কাজ হয়নি, তা ফের বোঝা গেল। অটোচালকদের নিয়ে আবারও কর্মশালার আয়োজন করল পুলিশ।
যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করা, অতিরিক্ত যাত্রী না তোলার পাঠ ফের দেওয়া হল অটোচালকদের। শনিবার সকালে জোড়াবাগান এবং হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের উদ্যোগে মিনার্ভা থিয়েটারে সেই কর্মশালায় ওই দু’টি গার্ডের পুলিশকর্মীরা ছাড়াও ছিলেন টালা ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলের প্রশিক্ষক সার্জেন্ট রাজেশ ভাণ্ডারী, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, মোটিভেশন স্পিকার ইন্দ্রজ্যোতি সেনগুপ্ত, প্রাক্তন নার্স গীতা দে প্রমুখ। আর ছিলেন ১২টি রুটের প্রায় ১৩০ জন অটোচালক। প্রথমেই আয়োজকেরা জানিয়ে দেন, তাঁদের উদ্দেশ্য অটোচালকদের সমালোচনা করা নয়। জোড়াবাগানের ট্রাফিক গার্ডের অফিসার-ইন-চার্জ অলোক সান্যাল বলেন, ‘‘মানুষকে বহু সাহায্য করেন অটোচালকেরা। কিন্তু ছোটখাটো ঘটনা নিয়ে দু’-এক জনের দুর্ব্যবহার তাঁদের সম্পর্কে ধারণা খারাপ করে দেয়।’’
অটোচালকদের বিনোদনে এ দিন হ্যান্ডবিল পাস এবং মানব-শৃঙ্খল তৈরির মতো বেশ কিছু কার্যকলাপও করান ইন্দ্রজ্যোতিবাবু। তাঁদের শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দেন নার্স গীতা দে। এ দিকে, অটো চালানোর সময়ে ট্রাফিক নিয়ম মানার পাশাপাশি নিজের এবং অটোর প্রতিও যে নজর রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সে কথা তুলে ধরেন টালা ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলের প্রশিক্ষক সার্জেন্ট রাজেশ ভাণ্ডারী। দুর্ঘটনা এড়াতে নিজের অটোর যত্ন নেওয়া ও তার যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষা করানোর পরামর্শও দেন তিনি।
কিন্তু যাঁদের উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান, কি বলছেন সেই অটোচালকেরা? শিয়ালদহ-বড়বাজার রুটের চালক সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, নিমতলা-মানিকতলা রুটের প্রদীপ সিংহের কথায়, পরিস্থিতির চাপে তাঁদের তরফেও অনেক সময়ে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে যায়। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘চেষ্টা করব যাতে সমাজের কোনও কাজে আসতে পারি।’’