শেষ হয়নি ধস সারাইয়ের কাজ, রইল জটের শঙ্কা 

রোড দিয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, ছুটি থাকায় এ দিন যান চলাচলে তেমন কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। তবে আজ, বুধবার সকালে ওই রাস্তা খুলে না দেওয়া হলে ফের যানজটের আশঙ্কা থাকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

মেরামতি: এপিসি রোডে ধসের জায়গায় চলছে কাজ। মঙ্গলবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী

ভূগর্ভস্থ নিকাশি এবং জলের পাইপলাইন বসে গিয়েই শিয়ালদহের কাছে এপিসি রোডের একাংশে ধস নেমেছিল। সোমবারের সেই ঘটনার এক দিন পরেও, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ধস মেরামতের কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। আজ, বুধবার সকালে ধস সারাইয়ের কাজ শেষ হতে পারে বলে পুরসভার তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশের আশঙ্কা, বুধবার অফিসের ব্যস্ত সময়ের আগে ধস মেরামত করে রাস্তায় স্বাভাবিক ভাবে যান চলাচল শুরু না করতে পারলে যানজটে ফের নাকাল হতে হবে শহরবাসীকে।

Advertisement

শিয়ালদহের জগৎ সিনেমার কাছে এপিসি রোডে রাজাবাজার থেকে শিয়ালদহমুখী লেনে সোমবার সকালে আচমকাই সাত ফুট বাই আট ফুটের বড় গর্ত দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। এর পরেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই লেন দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এপিসি রোডের ওই বাস লেনটি বন্ধ করে গত সাত দিন ধরে ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনের কাজ চলছিল। পুরসভার কর্মীদের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সেই কাজের জেরেই মূল রাস্তার একাংশের ভূগর্ভস্থ নিকাশি এবং জলের পাইপলাইন বসে যায়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি ওই নিকাশি নালার দেওয়াল ধসে যাওয়ার কারণেই রাস্তায় বিশাল গর্ত হয়।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শিয়ালদহমুখী ওই রাস্তার দু’টি লেন খুঁড়ে কাজ করছেন পুরসভার কর্মীরা। পাশের লেন দিয়েই উভয়মুখী গাড়ি চলাচল করছে। তবে শিয়ালদহের দিকে ছোট গাড়ি চালানো গেলেও সোমবারের মতো এ দিনও ওই রাস্তায় শিয়ালদহমুখী বাস চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন শিয়ালদহমুখী সব বাস ও মিনিবাসকে সুকিয়া স্ট্রিট, বিবেকানন্দ রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার ফুলবাগান মোড় থেকে নারকেলডাঙা মেন রোড দিয়ে কোন বাসকে রাজাবাজারে আসতে দেওয়া হয়নি। ওই বাসগুলিকে বেলেঘাটা মেন

Advertisement

রোড দিয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, ছুটি থাকায় এ দিন যান চলাচলে তেমন কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। তবে আজ, বুধবার সকালে ওই রাস্তা খুলে না দেওয়া হলে ফের যানজটের আশঙ্কা থাকছে।

কাজ শেষ হতে কত দেরি? ঘটনাস্থলে থাকা পুরকর্মীরা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় রাস্তার নিচে থাকা নিকাশির ব্যবস্থার পুরোটাই ভেঙে গিয়েছে। সেই দেওয়াল নতুন করে মেরামতি করা হচ্ছে। এর পরে ওই এলাকায় নতুন করে মাটি ফেলে ফাঁকা জায়গা ভরাট করা হবে। তার উপরে পড়বে বালির স্তর। এর পরে রাস্তা মেরামতির কাজ করা হবে। ওই পুর কর্মীদের অনুমান, বাকি কাজ শেষ করতে বুধবার সকাল হয়ে যাবে। সোমবার রাতেই অবশ্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো জায়গা ঘুরে দেখেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) রতন দে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement