ধর্ষণের বিরুদ্ধে ‘নারী-গর্জন’ শহরে

‘ফেমিনিস্ট ইন্টারভেনশন’ বা ‘নারীবাদী হাঙ্গামা’র মাধ্যমে ধর্ষক মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন মহিলারা। যাঁদের অনুপ্রেরণা চিলের ভ্যালপারাইসো শহরের রাস্তায় গত ২০ নভেম্বরের নারী-গর্জন— ‘‘এল ভিয়োলাদোর এরেস তু’’, অর্থাৎ ‘‘তুমিই ধর্ষক’’। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলাকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:১৮
Share:

নিশানায়: ধর্ষক মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। শনিবার, নিউ মার্কেট এলাকায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

ধর্ষণ তথা সামগ্রিক পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে আচমকা বিক্ষোভে এক টুকরো চিলে উঠে এল কলকাতার রাজপথে। ধর্মতলায় নিউ মার্কেটের কাছে শনিবার এক ধরনের

Advertisement

‘ফেমিনিস্ট ইন্টারভেনশন’ বা ‘নারীবাদী হাঙ্গামা’র মাধ্যমে ধর্ষক মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালেন মহিলারা। যাঁদের অনুপ্রেরণা চিলের ভ্যালপারাইসো শহরের রাস্তায় গত ২০ নভেম্বরের নারী-গর্জন— ‘‘এল ভিয়োলাদোর এরেস তু’’, অর্থাৎ ‘‘তুমিই ধর্ষক’’।

চিলের নারীবাদী সংগঠন ‘লাস তেসিস’-এর ডাকে সে দেশের সরকার বিরোধী আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে ধর্ষণ তথা পুরুষতান্ত্রিক হিংসার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন সেখানকার মহিলারা। পরে ওই গর্জন ছড়িয়ে পড়ে সান্তিয়াগো, মেক্সিকো, আর্জেন্তিনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং লন্ডন, প্যারিস, জার্মানি-সহ নানা জায়গায়। এ দেশে দিল্লি এবং চেন্নাইয়ের পরে এই আন্দোলন এসে পৌঁছল কলকাতায়। অংশগ্রহণকারীদের তরফে প্রিয়াঙ্কা মুখোপাধ্যায় জানালেন, ‘‘চিলের ওই প্রতিবাদের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেটা দেখেই আমরা কলকাতায় এ রকম একটা প্রতিবাদের কথা ভাবি। ফেসবুকে ভাবনাটা জানায় দ্যুতি মুখোপাধ্যায় নামে আমাদের এক বন্ধু। তার পর ফেসবুকেই

Advertisement

অজস্র শেয়ারের মাধ্যমে খবরটা ছড়িয়ে পড়ে।’’

ফেসবুক সূত্রে চেনা বন্ধুদের পাশাপাশি অনেক অচেনা বন্ধুও জুটে যান প্রিয়াঙ্কাদের পাশে। ‘লাস তেসিস’-এর স্প্যানিশ ভাষার কথাগুলিকে নিজেদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় গড়ে নেন তাঁরা। তার পর জনা ২৫ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচির রিহার্সাল দেন দিন সাতেক। এ দিন নিউ মার্কেটের কাছে কর্মসূচিতে অবশ্য রিহার্সাল ছাড়াই যোগ দেন শ’দুয়েক মহিলা। অংশগ্রহণকারীরা ওই কর্মসূচির নাম দেন ‘নারীবাদী হাঙ্গামা’। ওই কর্মসূচির পাশে দাঁড়ান কিছু পুরুষ এবং রূপান্তরকামীও। সকলে সমস্বরে ঘোষণা করেন, ‘‘আমি কী পরেছি, কোথায় গিয়েছি, দোষটা আমার নয়’’ এবং ‘‘এই দেশ ব্রাহ্মণ্যবাদী, ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, হোমোফোবিক, ট্রান্সফোবিক এবং ফ্যাসিবাদী হিন্দুরাষ্ট্র। মোদী সরকার! ধর্ষক তুমিই!’’ কর্মসূচির শেষ দিকে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ এবং ‘আজাদি’ স্লোগান-সহ নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), এনআরসি এবং এনপিআর-এরও বিরোধিতা করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement