প্রতীকী ছবি।
এক তরুণীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার আগে এক দিনের জন্য মায়ের কাছে এসেছিলেন তিনি। আর সেই ‘অপরাধে’ তাঁর মাকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। ওই মহিলার সংস্পর্শে আসায় আরও দু’জনকে ঘর ছাড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। শেষে বেসরকারি ল্যাব থেকে করোনার পরীক্ষা করানোর পরে পুলিশের সাহায্যে সোমবার ঘরে ঢোকার অনুমতি পান ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে গিরিশ পার্ক থানা এলাকার শেঠবাগানে। অভিযুক্ত বাড়ির মালিক অবশ্য কোনও কথা বলতে চাননি।
ওই তরুণীর করোনা রিপোর্টের খবর পেয়ে গত বুধবার স্থানীয় গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ সেই বাড়িতে আসে। তরুণীর মা, বছর সাতচল্লিশের মহিলা সেখানে থাকেন। তাঁর মেয়ে, পেশায় হাসপাতালের নার্স থাকেন শ্বশুরবাড়িতে। দিন কয়েক আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। পুলিশ সব শুনে মহিলাকে বাড়িতেই সাবধানে থাকতে বলে বেরিয়ে যায়।
মহিলার দাবি, পুলিশ বাড়ির মালিকের অনুমতি নিয়েই তাঁকে বাড়িতে থাকতে বলেছিল। কিন্তু পুলিশ বেরিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই রাতের দিকে বাড়ির মালিক তাঁকে ঘর থেকে বার করে দেন বলে অভিযোগ।
আরও অভিযোগ, সোনাগাছি-সহ যৌনপল্লিতে কাজ করা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরাও এ ব্যাপারে বাড়ির মালিকের পক্ষ নেন। যদিও ওই সংস্থার কর্ণধার, চিকিৎসক স্মরজিৎ জানা বলেন, “এ রকম কিছু ঘটে থাকলে তা অনুচিত।”
অত রাতে কোথাও আশ্রয় না পেয়ে সারা রাত রাস্তাতেই কাটান ওই মহিলা। পরে এক বান্ধবীর বাড়িতে চলে যান তিনি। বাড়ির মালিককে ফোন করলে তিনি জানান, ফিরতে হলে আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
মহিলা জানান, অনেক টাকা খরচ করে বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করান তিনি। রবিবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ইমেলে তা বাড়ির মালিককে পাঠানো হয়। কিন্তু তা-ও তিনি মহিলাকে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ। শেষে সোমবার গিরিশ পার্ক থানার পুলিশকে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে ঢোকেন ওই মহিলা।