গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

প্রতাপবাবুর দাবি, তাঁর মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে বলে মাস খানেক আগে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০১:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার রাতে, দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার গগন-গোয়ালিয়া গ্রামের ঘটনা। মৃত বধূর নাম পূর্ণিমা পাত্র (২৪)। রবিবার দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পূর্ণিমার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বশুরবাড়িতে নিত্য গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ। ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মৃত গৃহবধূর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মগরাহাট থানার চাকদার জয়পুরের বাসিন্দা প্রতাপ সামন্তের ছোট মেয়ে পূর্ণিমার সঙ্গে বছর দুয়েক আগে বিষ্ণুপুর থানার গগন-গোয়ালিয়ার বিলাস পাত্রের বিয়ে হয়। মাস সাতেক আগে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়। অভিযোগ, তার পর থেকেই পূর্ণিমাকে নানা ভাবে কটূক্তি করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এমনকি, তাঁর চেহারা নিয়েও নিত্য গঞ্জনা শুনতে হত বলে অভিযোগ। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসতেও চাপ দেওয়া হতে থাকে। মূলত শাশুড়ি শ্যামলী পাত্র এবং ননদ মালতীই পূর্ণিমাকে কটূক্তি করতেন বলে অভিযোগ। মৃতার বাবা প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘ওর সংসারে সুখ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পৈতৃক জমি বিক্রি করে কয়েক দফায় ১৭- ১৮ লক্ষ টাকা দিয়েছি। কিন্তু তার পরেও শ্বশুরবাড়ির মন পাওয়া যায়নি। টাকা নেওয়ার পরেও মেয়েকে মেরে ফেলল। আমরা জমি বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছি।’’

প্রতাপবাবুর দাবি, তাঁর মেয়ের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছে বলে মাস খানেক আগে বিষ্ণুপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। শনিবারও বাপের বাড়িতে ফোন করে পূর্ণিমা জানিয়েছিলেন যে, শ্বশুরবাড়ি থেকে ফের টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর পরে সন্ধ্যায় খবর আসে যে, মেয়ে অসুস্থ। তড়িঘড়ি আমতলা হাসপাতালে পৌঁছে প্রতাপবাবুরা দেখতে পান যে, পূর্ণিমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই জানতে পারেন, পূর্ণিমার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement