চলন্ত বাসে এক প্রৌঢ়কে মারধর করতে দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন সহযাত্রী এক মহিলা। উল্টে তাঁকেই মারধর করার অভিযোগ উঠল আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দিঘা থেকে কলকাতাগামী একটি বেসরকারি বাসে। আক্রান্ত মহিলার বাড়ি লিন্ডসে স্ট্রিটে। মারধরের অভিযোগে আটক করা হয়েছে দুই পুরুষ ও তিন মহিলা যাত্রীকে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা ২০ মিনিটে দিঘা থেকে বাসটি ছাড়ে। আমতার বাসিন্দা সিতাংশু মিশ্র ও তাঁর দুই বন্ধু তাতে ফিরছিলেন। একই বাসে নিজের সাত বছরের মেয়ে ও মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন লিন্ডসে স্ট্রিটের বাসিন্দা ওই মহিলাও। বাজকুল ছাড়ার পরে শিশুকে শৌচালয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পরিবার চালককে বাস থামাতে বলে। বাস থামলে ওই পরিবারের পাঁচ জন সদস্য-সহ অধিকাংশ যাত্রী বাস থেকে নামতে শুরু করেন। সব যাত্রী কেন নামছেন, তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন সিতাংশুবাবু। অভিযোগ, তখন শিশুটির পরিবারের এক জন তাঁকে গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করায় সিতাংশুবাবুকে মারধর করে ওই পরিবারের বাকি লোকেরা।
এক জন যাত্রীকে এ ভাবে মারতে দেখে প্রতিবাদ করেন সিতাংশুবাবুর পাশের সিটে থাকা ওই মহিলা। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিরা তখন মহিলাকে মারধর করে। গোলমালের মাঝে পড়ে জখম হয় তাঁর সাত বছরের শিশুকন্যাও। বাসের বাকি যাত্রীরা রুখে দাঁড়ালে তাঁদের সঙ্গেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ওই পরিবারের চার সদস্য।
ইতিমধ্যে আক্রান্ত ওই মহিলা ফোনে পুরো ঘটনা জানান লালবাজার কন্ট্রোল রুমে। পুলিশকর্তারা যোগাযোগ করেন তমলুক পুলিশ কন্ট্রোলে। সেখান থেকে ফোন যায় হলদিয়া মোড়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক অফিসার প্রদীপ মজুমদারের কাছে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ বাসটি পৌঁছলে সেটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আক্রান্ত মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি ছিল, ওই পরিবারকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে পুলিশে অভিযোগ করব। শেষ পর্যন্ত ওঁরা ক্ষমা চাওয়ায় আর অভিযোগ দায়ের করিনি।’’