বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে বারুইপুর থানার পিয়ালির ঘোলাঘাটা গ্রামে। মৃতার নাম সাধনা রায় (৫০)। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে মৃতার স্বামীর দিকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই স্ত্রীকে মারধর করতেন সাধনাদেবীর স্বামী অমল রায়। ওই দম্পতির তিন ছেলে রয়েছে। প্রত্যেকেই বিবাহিত। সকলেই পাশাপাশি থাকেন। এ দিন সকালে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ছেলেরাই প্রথম দরজা খোলেন। ঘরে ঢুকে দেখেন, মায়ের দেহটি কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ছোট ছেলে অনুতাপ রায় বলেন, ‘‘বাবা সন্দেহ করতেন মাকে। এ জন্য প্রতিদিনই মাকে মারধরও করতেন। আমরা এর প্রতিবাদ করতাম। বাবাই রাতে মাকে খুন করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।’’ পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে এমনই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন দম্পতির তিন ছেলে।
তদন্তকারীরা জানান, সাধনাদেবী পরিচারিকার কাজে কলকাতায় যাতায়াত করতেন। অভিযুক্ত অমল রাজমিস্ত্রি। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই অমল পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। ছেলেদের অভিযোগের ভিত্তিতে অমলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাইরে থেকে মৃতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।