Second Hooghly Bridge Accident

বেহালার পর দুর্ঘটনা দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে, লরির ধাক্কায় মৃত হাওড়ার যুবতী

পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল থেকে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুনন্দা তাঁর এক সহকর্মীকে আলিপুরে নামিয়েছিলেন। তার পর খিদিরপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ১০:১৪
Share:

হাওড়ার যুবতী সুনন্দা দাস। —নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবার রাতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন হাওড়ার এক যুবতী। মৃতের নাম সুনন্দা দাস (২৮)। কলকাতার ধর্মতলা এলাকার এক হোটেলের কর্মী ছিলেন সুনন্দা। হাওড়ার নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা তিনি। শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুনন্দা। ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে পিছন থেকে একটি লরি এসে স্কুটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

লরির ধাক্কায় সুনন্দার শরীরের একাংশ গাড়ির তলায় পিষে যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা সুনন্দাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ লরিটিকে আটক করলেও ঘটনাস্থল থেকে পলাতক লরির চালক।

পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেল থেকে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সুনন্দা তাঁর এক সহকর্মীকে আলিপুরে নামিয়েছিলেন। তার পর খিদিরপুর হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement

মৃতার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সুনন্দার ফোন থেকে তাঁর বাড়িতে যোগাযোগ করে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়। খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন এবং প্রতিবেশীরা এসএসকেএম হাসপাতালে ছুটে যান। মৃতার কাকা সনৎ দাসের অভিযোগ, পুলিশের নজরদারির অভাবে শহরে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হোক বলে দাবি করেছে মৃতার পরিবার।

শুক্রবার সকালে আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মহানগর। বেহালা চৌরাস্তায় লরির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে বড়িশা হাই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকার। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বাবার হাত ধরে স্কুলের দিকে রওনা দিয়েছিল সে। মাটিবোঝাই একটি লরি বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে সজোরে ধাক্কা মারে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। গুরুতর আহত হন বাবা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে রাস্তায় শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছেন অকাতরে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাটিয়েছিল কাঁদানে গ্যাসের শেল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন সৌরনীলের পরিবারকে। পরিবারকে সমস্ত রকম সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। সৌরনীলের বাবার চিকিৎসার ভারও রাজ্য সরকার নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement