শিয়ালদহ স্টেশন। —ফাইল চিত্র।
হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালু হয়ে গেলে শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে ঘণ্টায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন। পাশাপাশি, শহরতলির ট্রেনের কয়েক লক্ষ নিয়মিত যাত্রীর ভিড় তো থাকবেই। বরং সেই ভিড় খানিকটা বাড়তেও পারে। অথচ, এখনই স্টেশনে যাতায়াতের পথে ভিড়ের কারণে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। টিকিট কাউন্টারের ভিড় যাতায়াতে বাধা হয়। স্টেশন চত্বরের দোকানপাটেও শৃঙ্খলা নেই। দূরপাল্লার যাত্রীদের প্রতীক্ষালয়, ট্রেনের তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা, উন্নত শৌচালয়-সহ একাধিক ক্ষেত্রে শিয়ালদহ স্টেশনের উন্নয়ন প্রয়োজন। কিন্তু তা দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের মাধ্যমে নয়, দ্রুত হলে তবেই যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য আসত, এমনই মত রেলের অন্দরে।
‘অমৃত ভারত প্রকল্প’-এর আওতায় রাজ্যের যে সব স্টেশনের উন্নয়ন হওয়ার কথা, তার মধ্যে শিয়ালদহ এবং দমদম অন্যতম। আগামী ৬ অগস্ট ওই প্রকল্পের আওতায় থাকা পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের নির্বাচিত স্টেশনগুলির উন্নয়ন পরিকল্পনার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মাস্টার প্ল্যান বানিয়ে পর্যায়ক্রমে সেই উন্নয়ন হওয়ার কথা।
আগামী এক বছরে প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ খরচ করে প্রাথমিক ধাপের কাজ সম্পূর্ণ করার কথা। শিয়ালদহ স্টেশনের ক্ষেত্রে প্রথম বছরে ওই বরাদ্দ প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা। ভিড়ের নিরিখে আর এক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন দমদম। সেখানেও স্টেশনে যাতায়াতের এবং যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রাথমিক বিষয়গুলি থাকা জরুরি, মনে করছেন নিত্যযাত্রীরা।
এ দিকে, অমৃত ভারত প্রকল্পে শিয়ালদহ স্টেশনকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ, এই প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ টাকা ধাপে ধাপে কয়েক বছর ধরে আসবে। সেখানে শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনকে এই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় যেগুলির সঙ্গে রাখা হল, সেগুলির কোনওটিই ধারে-ভারে শিয়ালদহের সমতুল নয়। এককালীন টাকা বরাদ্দ করে শিয়ালদহের উন্নয়ন যুক্তিগ্রাহ্য হত বলে মত রেলেরই একটি অংশের।