গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আমার অঞ্চলের রাস্তাঘাট খুবই খারাপ। এ বছর প্রচণ্ড বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে যে ভাবে রাস্তায় এবং বাড়ির পাশে জল জমেছে তাতে আমার বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বাড়ির কাঠের মেঝেও। ওই ঘরে আমি নাচ অভ্যেস করি। এতে প্রায় গোটা বাড়িই নতুন করে সারাতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, এক টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় যে ভাবে জল জমেছিল তাতে আমার কোনও গাড়িই আমাকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারত না।কী যে অবস্থা হয়েছিল! বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে জল জমা রাস্তায় রিক্সা করে বাড়ি পৌঁছতাম। এই ঘটনা এক দিনের নয়। একাধিক দিন এ ভাবেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে আমায়। আমার গাড়িও এতে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত। এই শহরে রাস্তাঘাট নিয়ে অনেক ভাল কাজ চোখে পড়ে। তাই আমার আবেদন, আমার বাড়ির রাস্তাঘাটের দিকেও যেন পুরসভার প্রতিনিধিরা নজর দেন।
আগের থেকে কলকাতা এখন অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন। রাজারহাট ও নিউটাউনের দিকে রাস্তাঘাটের সাজসজ্জা নজর কাড়ে। তবে নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। যেখানে সেখানে আমরা যেন যা খুশি ফেলে শহরকে নোংরা না করে রাখি।
অঞ্চলের পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।
নিকাশি ব্যবস্থা আমাদের অঞ্চলে যারপরনাই বিপর্যস্ত। তাই এ ভাবে বর্ষায় জল জমে। একটু বৃষ্টি হলেই বানভাসি লেক গার্ডেন্স। এবং নিকাশি নালা জমে যাওয়ায় সেই জল নামতেও অনেকটা সময় নেয়। এই ঝামেলা থেকে যে কবেমুক্তি পাবো!
কলকাতা শহর এখন বেশ আলোকিত। তবে যাতায়াতের সময় কয়েকটি জায়গায় অন্ধকারও চোখে পড়ে। যেমন, আমার মায়ের বাড়ি যাওয়ার সময় রবিনসন স্ট্রিটের পিছনের রাস্তা দেখি ঘুটঘুটে অন্ধকার। পার্ক পার্কাসের কিছু রাস্তায় ঠিকমতো আলো নেই। আমার মনে হয়, রাস্তায় যত জোরাল আলো থাকবে অপরাধপ্রবণতা ততই কমবে।
আজও কলকাতার বিভিন্ন বস্তি অপরিচ্ছন্ন। ময়লা ফেলার জায়গা রাস্তায় খোলা পড়ে থাকে। কেন? তাতে যেমন পরিবেশ দূষণ হয় তেমনই দেখতেই খুব খারাপ লাগে। বাইরে থেকে কলকাতায় যাঁরা আসেন তাঁরা হয়তো এক নজরেই এ সব দেখে ভাবেন, তিলোত্তমা বড়ই নোংরা। অথচ আমাদের এই শহরেই কত কী দেখার আছে! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেলাও বন্ধ করতে হবে। এর জন্য পুরসভা এবং শহরবাসী--- উভয়কেই সচেতন হতে হবে।
(সংকলন: স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়)