আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ। — ফাইল চিত্র।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। সেই রিপোর্টে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কমিশনের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে নিরাপত্তা, পরিকাঠামোগত এবং তদন্তে ত্রুটি সংক্রান্ত গাফিলতির কথা।
মহিলা কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কলকাতা পুলিশের উচিত ঘটনাস্থল নিরাপদ করা। কেন এই প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে? আরজি করের জরুরি বিভাগের চারতলায়, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেই সেমিনার হলের পাশের একটি ঘরে সংস্কার কাজের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। অনেকেই দাবি করেন, প্রমাণ লোপাট করতেই সংস্কারের নামে সেমিনার রুমের পাশের ঘর ভেঙেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু তা-ই নয়, পুলিশের মদতেই হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাই ঘটনাস্থল নিরাপদ করার কথা বলা হয়েছে মহিলা কমিশনের রিপোর্টে। তবে বর্তমানে এই ঘটনার তদন্তভার কলকাতা পুলিশের হাত থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তদন্তে সব রকম সাহায্য করা হবে সিবিআইকে।
এ ছাড়াও কমিশন রিপোর্টে দাবি করেছে, ঘটনার সময় কোনও নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন না। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং চিকিৎসাকর্মীদের জন্য রাতের শিফ্টে নিরাপত্তার ব্যবস্থার অভাব ছিল। পাশাপাশি, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। শৌচাগারে রক্ষণাবেক্ষণের খামতি, অপর্যাপ্ত আলো, নিরাপত্তার অভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আরজি কর-কাণ্ডে তদন্তের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই প্রতিনিধি। লালবাজারে যান তাঁরা। পাশাপাশি, মৃতা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন কমিশনের দুই প্রতিনিধি। এমনকি, আরজি করে যান, কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ঘুরে দেখেন ঘটনাস্থল। কথা বলেন মৃতার সহকর্মীদের সঙ্গেও। তার পরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করল মহিলা কমিশন।