ফাইল চিত্র।
করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে গণ পরিবহণ বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা এবং হলুদ ট্যাক্সির চালকেরা। সরকারি নির্দেশ মেনে আপাতত পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা ভেবেছেন তাঁরা। তবে, রেল স্টেশন এবং বিমানবন্দরে প্রি-পেড ট্যাক্সির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা দেখে নিয়ে এগোতে চান চালকেরা।
এ প্রসঙ্গে আইএনটিটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা শম্ভুনাথ দে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসন যে নির্দেশ দেবে, আমরা সেটাই মানব। আগের বার শুরুতে সব বন্ধ থাকলেও শর্তসাপেক্ষে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল। দূরপাল্লার ট্রেনের বা বিমানের যাত্রীরা সফরের টিকিট দেখিয়ে যাতায়াতের অনুমতি পাচ্ছিলেন। এ বার এখনও কিছু জানতে পারিনি।’’
বিশেষ পরিস্থিতিতে পরিষেবা কী ভাবে চলবে, অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি এখনও তা বুঝে উঠতে পারেনি। তাই পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলেই ধরে নিচ্ছে তারা। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে বিশেষ পরিষেবা চালু করার কথা জানিয়েছে সিটু এবং আইএনটিটিইউসি-র অ্যাপ-ক্যাব সংগঠন। সিটু-র পক্ষ থেকে করোনা রোগীদের জন্য আগেই বিশেষ পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। সংগঠনের নেতৃত্ব এ দিন জানিয়েছেন, ৯০০৭৭৭৪১১৬, ৯৮৭৪৪০৪০৪০, ৮৯১০৯০১৩২৭ এবং ৯৭৪৮৪৬৩২৩৭ নম্বরে ফোন করে আগের মতোই পরিষেবা মিলবে। চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের জন্যও ওই পরিষেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, প্রতিষেধক বা চেক-আপের জন্য কাউকে নিয়ে যাওয়া, ওষুধ-অক্সিজেন নিয়ে আসা বা শেষকৃত্যে যোগ দিতে যাওয়ার মতো কাজেও তাঁদের অ্যাপ-ক্যাব মিলবে। সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘আগের সমস্ত পরিষেবার পাশাপাশি এ বার নন-কোভিড পরিষেবাও চালু হচ্ছে। আরও অনেক চালককে আমরা যুক্ত করছি।’’
আইএনটিটিইউসি ঘনিষ্ঠ অ্যাপ-ক্যাব সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’-এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফোনে (৮৯১০০৭৯২১২ এবং ৯৮০৪৪৫৮০৪৫) খবর দিলে তাঁরাও জরুরি চেক-আপ এবং প্রতিষেধক নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের সাহায্য করবেন। এ দিন ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘আমরা দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছি। আগের লকডাউনেও পরিষেবা দিয়েছি। এ বারও অন্যথা হবে না।’’