ছবি: সংগৃহীত।
গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ঘূর্ণিঝড় ‘তকতে’। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় তা আরব সাগরের পূর্ব-মধ্যভাগের উপর অবস্থান করছিল। তবে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শক্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর পর আগামী মঙ্গলবার এটি গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
মৌসব ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এটি আরব সাগরের পূর্ব-মধ্য উপকূলে ছিল। সে সময় দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মুম্বইয়ের ৫৯০ কিলোমিটার এবং গুজরাতের বেরাবলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকার ৮২০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল। তবে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে উত্তরের দিকে এগোচ্ছে ‘তকতে’।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, শনিবার রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এর পর ১৮ মে, মঙ্গলবার সকালে তা গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার দুপুরে অথবা সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলের পোরবন্দর এবং নালিয়া পার করার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই গুজরাত উপকূলবর্তী এলাকা-সহ দিউতে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একাধিক রাজ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যার জেরে কেরলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সমুদ্রবর্তী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং তামিলনাড়ু জাতীয় বিপর্যয় মেকাবিলা বাহিনীর ৫০টিরও বেশি দল মোতায়েন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত-সহ ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ওই রাজ্যগুলিকে নিয়ে একটি প্রস্তুতি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির প্রতিনিধি। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।