ছবি পিটিআই।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে দমদম, বিরাটি, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দত্তপুকুর, বামনগাছি-সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ শুরু হল। সম্প্রতি মধ্যমগ্রাম পুরসভার এক চেয়ারম্যান পারিষদ অরবিন্দ মিত্র, তাঁর গাড়িচালক এবং মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক নার্সের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে। তার পরেই মধ্যমগ্রাম এবং সংলগ্ন এলাকায় ঢোকার বিভিন্ন পথ ব্যারিকেড করে আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পুলিশ। পাশাপাশি এ দিন অভিযোগ ওঠে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে মাস্ক না-পরেই কেউ কেউ রাস্তায় বেরিয়েছেন। পুলিশ তাঁদের সতর্ক করে।
এ দিন পুলিশের নির্দেশ মেনে সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় বসে বাজার। পুলিশের দাবি, অধিকাংশ জায়গায় সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলা হচ্ছে। তবে সকালে একটি ভুল বার্তা ছড়িয়ে যাওয়ায় দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় বেশ কিছু দোকান খুলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জানিয়ে দেয়, অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর বিপণি ছাড়া কোনও দোকান খোলা যাবে না। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোথাও কোথাও লকডাউন না-মেনে জমায়েতের অভিযোগ উঠেছে। বিধিভঙ্গের অভিযোগে ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপ্রয়োজনে যাতায়াত ঠেকাতে গাড়ির নাকাতল্লাশিও চলছে।’’