lockdown

গৃহকর্মীদের বেতন পৌঁছে দিল পুলিশ

শনিবার নিউ টাউনে এমনই ৪২ জন গৃহকর্মীর হাতে বেতন তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ০৪:২৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

লকডাউন চলছে গোটা দেশ জুড়ে। যার জেরে অধিকাংশ আবাসনেই বন্ধ পরিচারক-পরিচারিকাদের যাতায়াত। এই অবস্থায় বেতন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন পরিচারিকারা।

Advertisement

কিন্তু আবাসনের বাসিন্দারা চলতি মাসের শেষেই তাঁদের বেতন দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কী ভাবে সেই টাকা পৌঁছনো হবে? মুশকিল-আসান হয়ে এগিয়ে এল বিধাননগর পুলিশ। ফ্ল্যাট-মালিকদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে তারাই তা পৌঁছে দিল গৃহকর্মীদের হাতে। শনিবার নিউ টাউনে এমনই ৪২ জন গৃহকর্মীর হাতে বেতন তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

লকডাউনের কারণে নিউ টাউনের টেকনো সিটি থানা এলাকার আবাসনগুলিতে গৃহকর্মীদের কাজে আসতে বারণ করেছেন বাসিন্দারা। ফলে তাঁরা বেতন কী ভাবে পাবেন, তা নিয়ে ঘোর সংশয়ে ছিলেন ওই গৃহকর্মীরা। যদিও বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, তাঁরা যেমন বেতন পান, তেমনই পাবেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে সেই বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে।

Advertisement

নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া-৩ এলাকার একটি আবাসন কমিটির কর্মকর্তা নবকুমার মণ্ডল জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গৃহকর্মীদের কাজে আসতে বারণ করা হয়েছিল। এর জন্য তাঁদের বেতন যে কোনও ভাবেই কাটা যাবে না, তা-ও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সমস্যা দেখা দেয় বেতন কী ভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে।

তিনি জানান, বিধাননগর পুলিশের কর্তা পার্থ শিকদারকে তাঁরা জানিয়েছিলেন যে, পরিচারিকারা গেটের বাইরে এলে তাঁরা বেতন দিয়ে দেবেন। কিন্তু লকডাউনের সময়ে পরিচারিকাদের পক্ষে বাইরে বেরোনোও তো অসুবিধাজনক। তখন ওই পুলিশকর্তা জানান, তাঁরাই বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেতনের টাকা সংগ্রহ করে পরিচারিকাদের হাতে পৌঁছে দেবেন। সেই মতো বাসিন্দাদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে পরিচারিকাদের হাতে ওই টাকা তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের এই উদ্যোগে বাসিন্দা ও পরিচারিকারা অভিভূত। পুলিশ জানায়, শনিবার ৪২ জনকে বেতন দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনেও এই কাজ চলবে।

আপাতত এক মাসের বেতন পেলেও পরের মাসগুলিতে কী হবে, তা নিয়ে পরিচারিকারা এখনও শঙ্কায় রয়েছেন। যেমন, রাজারহাটের পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লাখি সর্দার জানান, তাঁর স্বামী রঙের কাজ করেন। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই কাজ বন্ধ। লাখি বলেন, ‘‘এই মাসে তো বেতন পেলাম। কিন্তু সামনের মাস থেকে কী ভাবে সংসার চলবে, বুঝতে পারছি না।’’

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement