West Bengal Lockdown

লকডাউন বজায় রাখতে গিয়ে প্রহৃত পুলিশ

তদন্তকারীরা জানান, রবিবার রাতে তাঁরা জানতে পারেন, সৈয়দ আহমেদ রোডে স্থানীয় বাসিন্দারা লকডাউন অমান্য করে ভিড় জমিয়েছেন এবং রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। আর সেই লকডাউনের মধ্যেই অকারণ রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল একাধিক যুবক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে উল্টে নিগৃহীত হতে হল পুলিশকর্মীদেরই।

Advertisement

রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা এলাকার সৈয়দ আহমেদ রোডে। পুলিশ অবশ্য ওই রাতেই অভিযুক্তদের এক জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম শেখ শোয়েব। ঘটনাস্থলের কাছেই তার বাড়ি। শিয়ালদহ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধাদান ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক শুভদীপ রায় অভিযুক্তকে ৯ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

তদন্তকারীরা জানান, রবিবার রাতে তাঁরা জানতে পারেন, সৈয়দ আহমেদ রোডে স্থানীয় বাসিন্দারা লকডাউন অমান্য করে ভিড় জমিয়েছেন এবং রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওই খবর পেয়ে এন্টালি থানার টহলদার পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। পাড়ার কেউ লকডাউন লঙ্ঘন করে বাইরে বেরিয়েছিলেন কি না জানতে চাওয়া হলে এলাকার কয়েক জন যুবক পুলিশকর্মীদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি, গালিগালাজ এবং কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

লালবাজারের এক কর্তা জানান, পুলিশের তাড়া খেয়ে এলাকার ওই যুবকেরা প্রথমে গলির ভিতরে ঢুকে যায়। সেখান থেকেই ক্রমাগত গালিগালাজ এবং অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে পুলিশকর্মীদের দেখে। পুলিশকর্মীরা গলির ভিতরে গেলে তাঁদের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেয় অভিযুক্তেরা। এর পরে ওই যুবকেরা ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করতে শুরু করে। খবর পেয়ে থানা থেকে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গ্রেফতার করা হয় শোয়েবকে। বাকিরা অবশ্য পালিয়ে যায়। রাতেই এন্টালি থানার অফিসার পীযূষ দে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা
দায়ের করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিদিনই ওই এলাকা থেকে লকডাউন অমান্য করার অভিযোগ আসছিল। এক জনকে গ্রেফতার করা হলেও ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

এ দিন আদালতের ভিতরে মুখে মাস্ক পরে সওয়াল করেন সরকারি কৌঁসুলি। এমনকি, বিচারকের মুখেও ছিল মাস্ক। এ দিন আদালতে তোলা হলেও করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে বিচারকের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়নি ধৃতকে। কোর্ট লকআপেই তাকে রাখা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement