বিহঙ্গ-দৃষ্টিতে কলকাতা। বিতর্ক এই মহানগরের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়েই। ফাইল চিত্র।
আপাতত সমাপ্ত হল জোব চার্নক-বিতর্ক। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের ওয়েবসাইটে জোব চার্নক সম্পর্কে যা যা তথ্যভ্রান্তি ছিল, তা সবই ঠিক করা হল কমিশনের তরফে।
রাজ্য হেরিটেজ কমিশন সূত্রের খবর, শুধু চার্নকই নন, কলকাতা সংক্রান্ত যে কোনও তথ্যভ্রান্তি যদি কেউ ধরিয়ে দেন, তা হলে তা যাচাই করে দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কমিশনের মূল উদ্দেশ্য হল কলকাতা-সহ রাজ্যের ঐতিহ্যের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা। সেখানে যদি কারও কোনও সুপারিশ থাকে, তা হলে অবশ্যই তা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে সংশোধনও করা হবে।’’
জোব চার্নক কলকাতা শহরের প্রতিষ্ঠা করেছেন, কমিশনের ওয়েবসাইটে আগে এই তথ্য উল্লেখ করা ছিল। সেই তথ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ওই তথ্য ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং তাতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের অবমাননা করা হয়েছে, এমনটা জানিয়ে হেরিটেজ কমিশনকে চিঠি দেয় (ই-মেল) সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ। কারণ, ২০০৩ সালে একটি রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, জোব চার্নক কলকাতার ‘জনক’ নন। কলকাতার কোনও জন্মদিনও নেই। ওই ই-মেল পাওয়ার পরে কমিশনের তরফে বুধবার তথ্যের সংশোধনও করা হয়। কিন্তু দেখা গিয়েছিল, তার পরেও ওয়েবসাইটের অন্যত্র ওই একই তথ্যভ্রান্তি রয়ে গিয়েছে। তবে এ দিনের সংশোধনের পরে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদের পক্ষে দেবর্ষি রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা খুশি যে শেষ পর্যন্ত রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের ওয়েবসাইটে ঐতিহাসিক তথ্য ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। হেরিটেজ কমিশনের তরফে আমাদের চিঠি দিয়েও সংশোধনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’