স্বাস্থ্য দফতর। —ফাইল চিত্র।
যে যন্ত্রের মাধ্যমে রোগীদের ডায়ালিসিস দেওয়া হয় কিংবা সিটি স্ক্যান, এমআরআই করা হয়, সেগুলির স্বাস্থ্য কতটা সুরক্ষিত রয়েছে? রোগী পরিষেবার স্বার্থে এ বার সরকারি হাসপাতালে থাকা ওই সমস্ত যন্ত্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর।
খোদ স্বাস্থ্যকর্তাদের পর্যবেক্ষণ, অধিকাংশ ডায়ালিসিস, এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্রের মেয়াদ শেষের মুখে। কয়েকটির ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও সেগুলি পরিষেবা দিয়ে চলেছে। তাই সেই পরিষেবার গুণগত মান কতটা বজায় থাকছে, তা দেখতে নেফ্রোলজি, রেডিয়োলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সম্প্রতি তাঁরা বৈঠকে বসে নিজেদের মতামত জানান। সেখানেই জানা যায়, বহু ডায়ালিসিস যন্ত্র ইতিমধ্যেই ৩০-৪০ হাজার ঘণ্টা পরিষেবা দিয়েছে। তার পরেও ওই যন্ত্র থেকে যে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, তার গুণগত মান কতটা ঠিক থাকছে, সেটাই বড় প্রশ্ন বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা।
আবার এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানের অনেক যন্ত্রেরই দশ বছরের মেয়াদ ফুরিয়েছে। কয়েকটির আয়ু শেষ বলেও জানিয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা। তারা স্বাস্থ্য দফতরকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য-অধিকর্তার উপস্থিতিতে বিশেষজ্ঞেরা বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও যন্ত্রের জন্য পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার বা কোনও যন্ত্রকে পুরোপুরি বাতিল বলে ঘোষণার আগে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে। মূলত তিনটি বিষয় গুরুত্ব পাবে— যন্ত্রটির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, তা থেকে যে পরিষেবা মিলছে, তার গুণগত মান কেমন এবং যে সংস্থা ওই যন্ত্র পাঠাচ্ছে, তাদের রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো কেমন। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘রোগ নির্ণয়কারী যন্ত্র নিজেই রোগগ্রস্ত হলে তো বড় বিপদ। ডায়ালিসিস, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান যন্ত্রের গড় আয়ু দশ বছর ধরা হয়। ওই সব দামি যন্ত্র পুনরায় কেনার আগে সকলের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’