ফাইল চিত্র।
নিয়মবিধি লঙ্ঘন করে কালীপুজোয় বাজি ফাটানো নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে কোথাও বাজি ফাটানো হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই ২০টি দল গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কলকাতায় নজরদারি চালাচ্ছে এ রকম ছয়টি দল।
আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বাজি ফাটানোর মোট ১৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে। তার মধ্যে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে বিসি রায় হাসপাতাল চত্বর থেকে। সেখানে ইতিমধ্যেই একটি দলকে পাঠানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। এ ছাড়াও সোনারপুর, দমদম, বাগুইহাটি, শিবপুর, বেহালা, সখের বাজার, আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে পর্ষদের কাছে।
কলকাতা হাই কোর্টের রায় খারিজ করে সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, কালীপুজোয় শুধু পরিবেশবান্ধব ‘সবুজ আতশবাজি’ ব্যবহারেই অনুমতি দেওয়া হবে। এর পরই রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার রাজ্য জুড়ে সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। দীপাবলি এবং ছট পুজোতে দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে সবুজ আতশবাজি, জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। দীপাবলি উৎসবে সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ২ ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে তা। আর বড়দিন ও ইংরাজি নববর্ষে রাত ১১.৫৫ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৫ মিনিটের জন্য। নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই নির্দেশ লঙ্ঘনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে।