প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে হবে। আবার ইউজিসি এক নির্দেশে জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের মূল্যায়ন করতে হবে আগের সিমেস্টারের ফল এবং অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের ফলকে ধরে। এই দু’রকম নির্দেশেই ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি।
এই পরিস্থিতিতে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়ে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের আবেদন জানিয়েছিল। মঙ্গলবার একই দাবি জানাল পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)। সংগঠনের সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্ত এবং সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন। ওয়েবকুটার বক্তব্য, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের অন্তর্বর্তী ইভেন সিমেস্টারের পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা উদ্বেগজনক।
শুভোদয়বাবু বলেন, ‘‘কলকাতা, যাদবপুর, কল্যাণী, উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র নির্দেশিকার সঙ্গে সাযুজ্য না রেখে চূড়ান্ত সিমেস্টারের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সিমেস্টারের পরীক্ষা গ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য অবিলম্বে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক।’’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই স্নাতক স্তরের অন্তর্বর্তী ইভেন সিমেস্টার, অর্থাৎ দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে উদ্যোগী হয়েছে। এই দুই পরীক্ষার খাতা দেখে প্রাপ্ত নম্বর ৩১ অগস্টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আপলোড করারও নির্দেশ কলেজগুলিকে দেওয়া হয়েছে। তবে ইউজিসি-র নির্দেশ আসার পরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তী ইভেন সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে উদ্যোগী হয়নি। কয়েক জন উপাচার্য জানালেন, এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশের দিকেই তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন।