—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতার রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ির ভিড় কমাতে বরাহনগর থেকে বড়বাজার সংলগ্ন জগন্নাথ ঘাট ছুঁয়ে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত বার্জ বা রোরো (রোল অন রোল অব) পরিষেবা শুরু করতে চায় রাজ্য সরকার। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় হুগলি নদীর জলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ওই কাজ হবে। এর ফলে নিবেদিতা সেতু দিয়ে বন্দর অভিমুখে আসা ট্রাক ছাড়াও বন্দর থেকে বড়বাজার পর্যন্ত আসা ট্রাকের চাপ কমানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর। এ ছাড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দূরত্ব কমাতে রায়চক থেকে কুকরাহাটির মধ্যে রোরো পরিষেবা শুরু করতে চায় রাজ্য। গঙ্গার উপরে আরও অন্তত চারটি জায়গাতেও এই পরিষেবা শুরুর ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবহণ দফতরের ময়দান তাঁবুতে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে নদী তীরবর্তী প্রায় ২৫টি পুরসভার পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে উত্তরে ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণে নূরপুর পর্যন্ত অংশে ৪৫টি জেটির নির্মাণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা ছাড়াও কী ভাবে জলপথ পরিবহণ উন্নত করা হচ্ছে, তার রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
পরিবহণমন্ত্রী জানান, পুরসভাগুলির তত্ত্বাবধানে আধুনিক ফেরি পরিষেবা পরিচালিত হবে। তবে, এ ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে তাদের। সেই নির্দেশিকা সরকার তৈরি করছে। এ ছাড়া, পরিকল্পনা মেনে জলপথে আধুনিক ভেসেল পরিষেবা চালু করবে রাজ্য। তার জন্য বাবুঘাটে আধুনিক জেটি ছাড়াও হাওড়া-সহ আরও চারটি টার্মিনাল তৈরি হবে। হাওড়ায় টার্মিনাল তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৯৩ কোটি টাকা। গঙ্গার ধারে বিভিন্ন জেটি লাগোয়া ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় প্রকল্পের আওতায় সৌন্দর্যায়ন করা হবে। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।