দুর্ঘটনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটি। নিজস্ব চিত্র
দাঁড়িয়ে থাকা বিমানকে ধাক্কা মারল জলের ট্যাঙ্কার। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনায় কলকাতা বিমানবন্দরে বিদেশি বিমান সংস্থার একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, কাতারের একটি বিমান দোহা থেকে যাত্রীদের নিয়ে রাত ২টোয় কলকাতায় নেমেছিল। বুধবার রাতেই ফের ১০৩ জন যাত্রীকে নিয়ে সেটির দোহা যাওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার পরে সেটি বাতিল করা হয়েছে। বিমান সংস্থা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে যে বিমান আসবে সেটিতে বুধবারে আটকে যাওয়া যাত্রীদের একাংশকে নিয়ে যাওয়া হবে। অনেক যাত্রী টিকিট বাতিল করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে সারাতে বৃহস্পতিবার রাতের ওই উড়ানেই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারেরা এবং যন্ত্রাংশ আসার কথা।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বুধবার রাতে কলকাতায় নামার পরে বিমানবন্দরের ৫৯ নম্বর পার্কিং বে-তে দাঁড়িয়েছিল কাতারের ওই বিমানটি। রাত আড়াইটা নাগাদ এআইএটিএসএল-এর একটি ট্যাঙ্কার জল ভরে দিতে সেই বিমানের দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগ, ট্যাঙ্কারটি সটান গিয়ে বিমানের পেটে ধাক্কা মারে। গাড়ির চালককে বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করা হয়। সূত্রের খবর, ওই ট্যাঙ্কারের চালকের দাবি ছিল, ট্যাঙ্কারটির ব্রেক ফেল করেছে। তবে, তিনি মত্ত ছিলেন কি না, তা জানতে রাতেই তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁর মুখ থেকে মদের গন্ধ পাওয়া যায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় যাত্রীরা বিমানে ওঠেননি। রাত সওয়া ৩টের সময় বিমান ছাড়ার কথা থাকলেও তাঁদের লাউঞ্জে অপেক্ষা করতে বলা হয়। বিমান সংস্থা ভেবেছিল, বিমানটিকে সামান্য মেরামত করে নিয়ে যাওয়া যাবে। কিন্তু, যখন বোঝা যায়, সেটি ওড়ার অবস্থায় নেই, তখন ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ উড়ান বাতিল ঘোষণা করা হয়। যাত্রীদের শহরের একটি হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বিমানটি সারাতে দিন দু’য়েক লাগবে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর। সেটি বুধবার রাতেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১১ নম্বর বে-তে।
সাধারণত কলকাতা থেকে কাতারের উড়ান ধরে যাত্রীরা ইউরোপ, আমেরিকা যান। দোহা থেকে তাদের পরবর্তী কাতারের উড়ানেরই টিকিট কাটা থাকে। বুধবার রাতে কাতারের উড়ান বাতিলে মূলত তাঁরাই সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে কিছু যাত্রীকে অন্য দু’টি বিমান সংস্থার উড়ানে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি কাতারের ওই বিমান সংস্থার।