বিদ্যাসাগর সেতু তৈরি হওয়ার পরে মাত্র এক বারই সেটি কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফাইল ছবি।
এ বার বিদ্যাসাগর সেতুর কেবল পরীক্ষা এবং মেরামত করা হবে। তার জন্য চলতি মাসের দু’দিন রাতে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখতে চায় সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়েছে তারা। সেই চিঠির ভিত্তিতে গত সপ্তাহে পুলিশকে নিয়ে বিদ্যাসাগর সেতু পরিদর্শন করেছেন এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষ। তবে কবে ওই সেতু বন্ধ রেখে কাজ করা হবে, তার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হলে যাঁরা অসুবিধায় পড়তে পারেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরেই প্রশাসন ওই কাজ শুরু করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, চলতি মাসের শেষ দু’দিন রাতে এই কাজ করার অনুমতি মিলতে পারে প্রশাসনের তরফে। যদিও পুলিশকর্তারা চাইছেন ছুটির দিনে ওই কাজ করতে। কারণ, সে ক্ষেত্রে সেতু বন্ধ থাকলেও যানজট খানিকটা কমানো যাবে।
লালবাজার জানিয়েছে, বিদ্যাসাগর সেতু তৈরি হওয়ার পরে মাত্র এক বারই সেটি কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ বার এই সেতুর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সেটি মেরামতির পাশাপাশি যে ঝুলন্ত কেব্্ল রয়েছে, সেগুলিও পরীক্ষা করতে চায় এইচআরবিসি। একই সঙ্গে সেতুর বেয়ারিংয়ের ক্ষমতাও খতিয়ে দেখা দরকার বলে সূত্রের খবর। আর এই সমগ্র কাজটি করার জন্য সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা প্রয়োজন।
এক পুলিশকর্তা জানান, গত ডিসেম্বরে এইচআরবিসি-র তরফে বিদ্যাসাগর সেতুর সংস্কারের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে সাঁতরাগাছি সেতু বন্ধ থাকায় পুলিশ ওই অনুমতি দেয়নি। এ বার ফের সেই কাজের জন্য অনুমতি চেয়ে কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিকবিভাগের ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন এইচআরবিসি কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতেই হয়েছে ওই যৌথ পরিদর্শন। এ বার নবান্নের তরফে রাজ্য পুলিশ, হাওড়া পুলিশ-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরেই সেতু বন্ধ রাখার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিদ্যাসাগর সেতুতে কাজের অনুমতি মিললে দু’দিন রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। সে ক্ষেত্রে ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী সব পণ্যবাহী গাড়ি রাতের ওইসময়ে টালা সেতু, চিৎপুর উড়ালপুল বা ভিআইপি রোড দিয়ে শহরের বাইরে যাবে। তবে ছোট গাড়িকে হাওড়া সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।