ফাইল চিত্র।
করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাই কলকাতা লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর ও মহেশতলা পুরসভার ১০০ শতাংশ বাসিন্দাদের প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে ওই দু’টি পুরসভার জন্য ২৫ হাজার প্রতিষেধক বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকায় ২ লক্ষ ৩৯ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। ৩৬ হাজার ৭৭ জনের দু’টি ডোজ়ই সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান পল্লব দাস। তবে তাঁর দাবি, পুর এলাকায় অনেক বাসিন্দাই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক নিয়েছেন। পুরসভার কাছে তাঁদের তথ্য নেই। ফলে প্রতিষেধক নেওয়া মোট বাসিন্দার সংখ্যা পুরসভার পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি বলেই দাবি তাঁর।
মঙ্গলবার প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে সোনারপুর-রাজপুর পুরসভায় বিধায়ক ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে যতটা সম্ভব শিবিরের সংখ্যা বাড়িয়ে সপ্তাহে অন্তত ৩০ হাজার প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য বিভিন্ন বরো অফিসের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
মহেশতলা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার নাগরিক প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। ৩০ হাজার মানুষের দু’টি ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত বেরা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৬৫টি শিবির করা হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রচার চালিয়ে নাগরিকদের প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার ও দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কাজ চলছিল। সেই কারণে প্রতিষেধক শিবিরে তেমন নজরদারি হয়নি। কাজে ঢিলেমি এসেছে। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কলকাতা লাগোয়া পুরসভাগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে জেলার পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক শিবির করা হবে। ব্লক স্তরের প্রশাসকদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা করে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলাশাসক পি উলগানাথন জানান, ‘‘সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে প্রতিষেধক শিবির করা হয়েছে। গোসাবা ব্লকের প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ প্রতিষেধক নিয়েছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সুন্দরবন এলাকায় ১০০ শতাংশ প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’