প্রতীকী ছবি।
হাওড়া পারে। কলকাতা পারে না। কলকাতা পুরসভার কাছে কোভিড প্রতিষেধক কর্মসূচির থেকেও কি জরুরি উৎসবের ছুটি? তাই কি পুজোর দিনগুলিতে হাওড়ায় প্রতিষেধক প্রদান চালু থাকলেও বন্ধ থাকছে কলকাতার সব প্রতিষেধক কেন্দ্র? দুই শহরের জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং পুর প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর অবশ্য যুক্তিও দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তা হল, পুজোয় আইনশৃঙ্খলা সামলাতে ব্যস্ত থাকবে কলকাতা পুলিশ। ফলে প্রতিষেধক কর্মসূচি অরক্ষিত থাকবে।
অথচ অষ্টমী বাদে ষষ্ঠী, সপ্তমী, নবমী এবং দশমীতে হাওড়াবাসী সব সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ওই প্রতিষেধক নিতে পারবেন। মঙ্গলবার হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজোর দিনেও যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ় পাওয়া যাবে, তা সরকারি ভাবে প্রচারের সিদ্ধান্তও হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল মঙ্গলবার জানান, ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পর্যন্ত এমনিতেই প্রতিষেধক দেওয়া হবে। সপ্তমী, নবমী ও দশমীতে প্রতিষেধক প্রদানের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন ‘‘হাওড়ায় যত বেশি সংখ্যক বাসিন্দাদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজটা এগিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টাই চলছে। তাই যত দিন হাতে প্রতিষেধক থাকবে, তা দেওয়া হবে। ৭, ৮ এবং ৯ অক্টোবর তিন দিনে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার বাসিন্দাকে প্রতিষেধক দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবারই সেখানে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ডোজ় প্রতিষেধক এসেছে।
এ দিকে, দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মীপুজোয় কলকাতা পুর এলাকার সব কোভিড প্রতিষেধক কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। পুর স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ২৪টি মেগা সেন্টার ১১ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষেধক প্রদান কর্মসূচি ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর, অর্থাৎ সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত এবং ২০ তারিখ লক্ষ্মীপুজোয় স্থগিত থাকবে।
পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই ছুটির দিনগুলো বাদে সোম থেকে শনি সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। রবিবার সব কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এক পুর স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘মেগা সেন্টারগুলি, অর্থাৎ বড় কমিউনিটি হলে প্রতিষেধক দেওয়ার সময়ে অনেক পুলিশ থাকে। পুজোয় আইনশৃঙ্খলা সামলাতে ব্যস্ত থাকবে তারা, তাই মেগা সেন্টারগুলি ১২ দিন বন্ধ থাকবে।’’