প্রতীকী ছবি।
খাট কেনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা চলছিল। সে সময়ে মেঝেতে বিছানায় শুয়ে ছিল তিন মাসের শিশুকন্যা। পরে সেই শিশুকেই অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার রাতে, বারুইপুর থানা এলাকার পিয়ালির ঘটনা।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার সময়েই মিত্রা প্রামাণিক নামে শিশুটির গায়ে কোনও ভাবে আঘাত লাগে। আর তার ফলেই শিশুটির মৃত্যু হয়। তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার পর থেকে শিশুটির বাবা পঙ্কজ প্রামাণিক নিখোঁজ। শিশুটির মা বৈশাখী প্রামাণিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় থানায় কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের না হলেও পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। পঙ্কজের খোঁজ করছে পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্টের পরেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়ালির ঘোলাঘাটার বাসিন্দা পঙ্কজ-বৈশাখীর তিন সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ের পরে মাস তিনেক আগে জন্ম হয় মিত্রার। পঙ্কজ পেশায় দিনমজুর, বৈশাখী আয়ার কাজ করেন। বৈশাখীর অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় প্রায়শই তাঁর উপরে অত্যাচার করেন পঙ্কজ। বৈশাখী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের ঘরে কোনও খাট নেই। তাই এ দিন খাট কেনার টাকা চাওয়া নিয়েই পঙ্কজের সঙ্গে অশান্তি হচ্ছিল তাঁর। সে সময়ে পঙ্কজ তাঁকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। বৈশাখীর কথায়, ‘‘বড় দুই ছেলেমেয়ে সে সময়ে বাইরের ঘরে ছিল। আর ছোট মেয়ে মেঝের বিছানায় শুয়েছিল। তখন কোনও ভাবে ওর গায়ে আঘাত লেগে যায়। ও চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। তখন ঘরে রাখা দুধও খেতে দিয়েছিলাম। তাতে কিছু ছিল কি না জানি না। পরে দেখি ও অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচাতে পারলাম না।’’