জনবহুল এলাকায় দু’দলের বচসা চলছে। আচমকা পিস্তল বার করে গুলি চালাল এক যুবক! আশপাশের লোক চমকে উঠতেই ছুটে পালাল সে। মঙ্গলবার রাতে বেহালার চড়ক়তলার ওই ঘটনায় কেউ জখম হননি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত যুবক রনি চৌধুরীকে বুধবার সকালে টালিগঞ্জের মহাবীরতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় একটি পিস্তলও। এ দিন বিকেলে আলিপুর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন রনি।
পুলিশের দাবি, ঘটনার পিছনে স্থানীয় একটি ক্লাবের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতে পারে। রনি ওই ক্লাবের সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ। রাকেশ হালদার নামে যে যুবককে লক্ষ করে গুলি চলে, তিনি সম্পাদকের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। প্রোমোটারদের কাছে পাওয়া অনুদান ও হিসেবপত্র নিয়ে সম্পাদক ও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর গোলমালের কথাও পুলিশ জেনেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে রনির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে রাকেশ কটূক্তি করায় বচসা বাধে। রাকেশ তা অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে এক তরুণীর বাড়িতে গুলি চালায় রায়গঞ্জের এক যুবক। তাঁকে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয়েরা। একই রাতে বেহালায় ক্লাবের গোলমাল নিয়ে গুলি চলায় ফের প্রশ্নে শহরে আইনশৃঙ্খলা। পুলিশের একাংশও সামান্য ব্যাপারে গুলি চলায় বিস্মিত। প্রশ্ন উঠছে অস্ত্রের জোগান নিয়েও। সম্প্রতি রবীন্দ্রনগর, মহেশতলায় অস্ত্রের ভাঁড়ার পেয়েছে পুলিশ।
কলকাতার যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) বিশাল গর্গ বলেন, ‘‘তদন্তে সকলের ভূমিকাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ স্থানীয় ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব।’’ এই ঘটনায় ইমারতিদ্রব্য সংক্রান্ত ব্যবসার কোনও যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা উচিত বলে দাবি অনেকের। স্থানীয়েরা জানান, রাকেশ ও রনি ওই ব্যবসাতেই যুক্ত। শহরে এই ধরনের ব্যবসা ঘিরে আগেও গুলি চলেছে। তবে পুলিশের দাবি, এখনও এ ব্যাপারে প্রমাণ মেলেনি।