ক্রেতার অপেক্ষায় পসরা সাজিয়ে রেস্তরাঁ। নিজস্ব চিত্র।
রবারের দস্তানায় মোড়া হাত, মুখে মাস্ক, তার উপর স্বচ্ছ ফাইবারের ফেস শিল্ড। প্রথমেই দাঁড় করিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হল জুতোর তলা থেকে, জীবাণুরোধী স্প্রে দিয়ে। এর পর একে একে দেহের তাপমাত্রা মাপা, হাতে পড়ল স্যানিটাইজার— তার পর ঢোকার অনুমতি। ভিতরেও উধাও রেস্তরাঁর চেনা ছবি। হাতে মেনু কার্ড এগিয়ে দিচ্ছেন না কেউ। মোবাইলের হোয়াটস্অ্যাপে চলে আসছে মেনু কার্ড। তা দেখে ফোনে অর্ডার দিতে হচ্ছে। নেই চিরাচরিত চিনেমাটির প্লেট বা বাটি। নেই পরিচিত টুংটাং আওয়াজ।
রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ জানালেন, নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার অর্ধেকের বেশি ফাঁকা রাখা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। রোস্টার করে কমানো হয়েছে কর্মী সংখ্যাও। রান্নাঘরেও সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ঘণ্টায় জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে বাসনপত্র। এ ভাবেই নানাবিধ বিধি নিষেধ এবং সুরক্ষা বিধি চালু করে আনলকডাউন পর্বের দ্বিতীয় পর্যায়ে খুলে গেল শহরের অধিকাংশ রেস্তরাঁ। তবে যে রেস্তরাঁগুলো পানশালা-প্রধান, সেগুলো খোলেনি। রেস্তরাঁ খুললেও, খেতে যাওয়ার ভিড় তেমন ছিল না। বিভিন্ন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ মানলেন যে, সময় লাগবে মানুষের ভয় কাটতে।
আরও পড়ুন: চেনা মেনু, চেনা মাল, বাকি সব বদলে গেল মল-রেস্তরাঁয়
আরও পড়ুন: কঠিন পরিস্থিতিতে পাশে রবীন্দ্র, ঘুরে ঘুরে বিনা পয়সায় চুল কেটে দিচ্ছেন