পুরুষ কিংবা মহিলা পুলিশকর্মী থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের মুখই আসলে বিপুল।
দুই ব্যক্তি হাত মেলানোর চেষ্টা করতেই তাঁদের মাঝে হাজির হলেন ‘বিপুল’। এর পরেই তাঁদের কাছে দূরত্ব বিধি মানার আবেদন করছেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে এই ভিডিয়ো। কিন্তু ওই বার্তায় বিপুল কে?
বিধাননগর পুলিশের সংক্ষিপ্ত রূপ। পুরুষ কিংবা মহিলা পুলিশকর্মী থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারের মুখই আসলে বিপুল।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ জানান, মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে পরিকল্পনা করে বিপুল নামের চরিত্রটিকে সামনে আনা হচ্ছে। তার মাধ্যমেই বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হবে। পুলিশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিপুল নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে। ওই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ আরও বাড়বে। এ ছাড়াও তৈরি হবে লোগো।
সিপি জানান, আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুলকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আগামী দিনে জনবহুল স্থানে হোর্ডিংয়েও স্থান পাবে সে। যেখান থেকে বিপুলের মাধ্যমে নানা সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে অবিরাম কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন। এক পুলিশ কর্তার কথায়, বহু প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সহযোগিতা মিলেছে।
তাতে পুলিশের মনোবল, উৎসাহ বেড়েছে। অসংখ্য পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও কাজ থামেনি। এই পরিকল্পনা সেই সংযোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই আশা পুলিশের। কারণ, মানুষ
এখন প্রযুক্তি নির্ভর। তার মাধ্যমে সহজেই কাছে পৌঁছনোর এই চেষ্টা। যেমন, কে পি বললেই লোকে কলকাতা পুলিশকে বোঝে। তেমনই বিপুল বললে মানুষ বুঝবেন বিধাননগর পুলিশকেই। এমনটাই বলছেন বিধাননগর পুলিশের একাধিক কর্তা।
করোনা-বিধি মানা কিংবা মশাবাহিত রোগ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার, মহিলাদের নিরাপত্তার বার্তা, পথ সচেতনতা, বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করার বার্তা এ বার থেকে দেবে বিপুল।