Crime

‘তোলা’ না দেওয়ায় তাণ্ডব, রাতের অন্ধকারে গড়িয়ায় ভাঙচুর ৩২টি বাস

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের মুখই ঢাকা ছিল। তারা স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো বাসগুলিতে লাঠি, ইট দিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালাতে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৯ ১৩:৪১
Share:

এ ভাবেই ভাঙচুর চালানো হয় বাসে। —নিজস্ব চিত্র।

রাতের অন্ধকারে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক বাস ভাঙচুর করল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন সি-৫ বাস স্ট্যন্ডে।

Advertisement

বাসচালকদের দাবি, মোট ৩২টি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। বাধা দিতে গেলে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বাসচালক এবং কর্মীদের মারধর করে টাকা পয়সাও লুঠ করে বলে অভিযোগ। ওই বাসস্ট্যান্ডে গড়িয়া স্টেশন-বাগবাজার, গড়িয়া ষ্টেশন-হাওড়া, গড়িয়া ষ্টেশন-বিবাদিবাগ রুটের বাস ছিল। সব ক’টি বাসেই ভাঙচুর চালানো হয়।

রাতে ওই স্ট্যান্ডে থাকা বাসচালক এবং কর্মীদের দাবি, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ১০-১২ জনের দুষ্কৃতী দল স্ট্যান্ডে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের মুখই ঢাকা ছিল। তারা স্ট্যান্ডে দাঁড়ানো বাসগুলিতে লাঠি, ইট দিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালাতে থাকে। ভাঙতে থাকে একের পর এক বাসের কাচ।

Advertisement

আরও পড়ুন: অবস্থানে অনড় থেকে রফাসূত্রের খোঁজ, আলোচনা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও​

ওই আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় বাসের মধ্যে ঘুমনো বাসকর্মীদের। অভিযোগ, তাঁরা দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

কিন্তু কেন হামলা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বাসকর্মীদের একাংশের দাবি, ঘটনার পেছনে রয়েছে শাসক দলের একটি অংশের মদত। বাসকর্মীদের অভিযোগ, অস্থায়ী স্ট্যান্ডটি গড়ে উঠেছে সরকারি খাস জমির উপর। অভিযোগ, শাসক তৃণমূলের একটি অংশ বাস মালিকদের কাছ থেকে স্ট্যান্ডে দাঁড়ানোর জন্য টাকা দাবি করে। অনেক বাসমালিক সেই ‘তোলা’ দিয়েছেন। আবার অনেকেই টাকা দিতে চাননি। হামলার পিছনে তোলাবাজি একটি কারণ বলে মনে করছেন বাসকর্মীদের একটি অংশ।

আরও পড়ুন: আন্দোলন এ বার ঔদ্ধত্যে পৌঁছচ্ছে​

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বাস ভাঙচুরের ঘটনায় বন্ধ রয়েছে ওই সমস্ত রুটের বাস পরিষেবা। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা তদন্ত শুরু করেছেন তবে এখনও কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র নেই অপরাধীদের বিষয়ে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement